সংগৃহীত ছবি
গত মাসে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার ৫ সিনিয়র পাইলটের। এর পরই দাবি উঠেছে, বিমান কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের টিকা দেওয়ার। এই বিষয়ে বিমান সংস্থাকে চিঠিও লেখা হয়েছে।
যে ৫ জন বিমানচালকের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাপ্টেন হর্ষ তিওয়ারি। হর্ষের স্ত্রী মৃদুস্মিতা দাস তিওয়ারির আক্ষেপ, তাঁর স্বামীকে যদি প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা হিসাবে দেখা হত ও টিকা দেওয়া হত, তবে আজ পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যেত না। মৃদুস্মিতা বলেন, ‘‘আমি আমার স্বামীর শেষকৃত্য করতে হরিদ্বারে আছি। আমার শ্বশুর ও শাশুড়ির বয়স হয়েছে। তাঁরা অবসরপ্রাপ্ত। আমার ৫ বছরের মেয়ে রয়েছে। সে এখনও বাবার ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। সে জানে যে তার বাবা এখনও হাসপাতালে আছে। কেন এত দেরি হচ্ছে বাবার বাড়ি ফিরতে, বারবার তা জানতে চাইছে।’’
মৃদুস্মিতা মতো স্বজন হারিয়েছেন আরও অনেকেই। এক বছরে কোভিডের কারণে দেশে ১৭ জন বিমানচালকের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আজ অবধি বিমানচালকদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের কোনও পরিকল্পনা নেই। বিমানচালকদের জন্য কোনও বিমা বা এই জাতীয় কোনও পরিকল্পনাই নেই। গত ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে তাঁরা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন।’
সংগঠনটি জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুধুমাত্র এয়ার ইন্ডিয়ারই ১ হাজার ৯৯৫ জন কর্মী কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ৫৮৩ জনকে। এয়ার ইন্ডিয়া ‘বন্দে ভারত’-র অধীনে ১৬ হাজার ৩০৬ বারে ২০ লাখেরও বেশি যাত্রীকে পরিষেবা দিয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy