ভিখারির সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মহিলার বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
স্ত্রী বাড়িতে না-ফেরায় পুলিশের কাছে স্বামী অভিযোগ করেছিলেন যে, ভিখারির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন মহিলা। কিন্তু মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। বাড়ি ফিরেই পাল্টা দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনও ভিখারির সঙ্গে পালাননি। পাল্টা মহিলার অভিযোগ, স্বামী তাঁকে প্রায়ই মারধর করেন। শুক্রবারেও মারধর করেছিলেন। তাই রাগের বশে বাড়ি ছেড়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে ওঠেন। মহিলার এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশও মহিলার দাবিকে সমর্থন করে জানিয়েছে, মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর তিনি থানায় আসেন। মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী মারধর করেন। তাতেই অতিষ্ঠ হয়ে ফারুকাবাদে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। মহিলার দাবি সত্যি কি না তা জানার চেষ্টাও করা হয়েছে। দেখা যায়, মহিলা যা দাবি করেছেন তা সত্যি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
হরদোইয়ের হরপালপুরে স্ত্রী রাজেশ্বরী এবং ছয় সন্তানকে নিয়ে থাকতেন রাজু। ওই এলাকাতেই নানহে পণ্ডিত নামে এক ভিখারি মাঝেমধ্যেই আসতেন। রাজুর দাবি, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন যে, ভিখারির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর পরিচয় হয়। ভিক্ষার অছিলায় অনেকেই তাঁদের দু’জনকে কথা বলতে দেখেছিলেন বলে পড়শিদের দাবি। শুধু তা-ই নয়, ফোনেও দু’জনের মধ্যে কথা হত বলে জানতে পারেন রাজু। তবে ভিখারি নানহের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি বলে দাবি রাজুর।
অভিযোগপত্রে রাজু জানান, গত ৩ জানুয়ারি বড় কন্যা খুশবুকে স্ত্রী বলে গিয়েছিলেন তিনি বাজারে যাচ্ছেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রাজেশ্বরী না ফেরায় বড় কন্যা রাজুকে ফোন করে জানান। তড়িঘড়ি বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে খোঁজা শুরু করেন রাজু। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাননি। তার পরই ওই ভিখারির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy