—প্রতীকী চিত্র।
শ্রীনগরে কোনও গৃহস্থ অথবা কোনও ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র রাখতে পারবেন না। উপত্যকায় ছুরি দিয়ে ধারাবাহিক ভাবে খুনের ঘটনায় এমনই নির্দেশ দিল শ্রীনগরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। শুক্রবার এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও গৃহস্থের কাছে কোনও ধারালো অস্ত্র থাকলে তা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে থানায় জমা দিতে হবে।
আচমকা কেন এমন নির্দেশিকা? পুলিশ প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে, গত কয়েক দিনে কামারওয়াড়ি, বেমিনা, ক্রালপোরা, বাটমালু, কোঠিবাগ, রামবাগ ইত্যাদি অঞ্চলে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এবং প্রতিটি খুনেই ব্যবহৃত হয়েছে ছুরি অথবা ধারালো কোনও অস্ত্র। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশিকা জারি হচ্ছে। আদালতের পর্যবেক্ষণেও বলা হয়েছে, জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাঁদের নিরাপত্তায় প্রভাব পড়তে পারে বা কোনও আশঙ্কা থাকতে পারে এমন কোনও বিষয় প্রশাসন বরদাস্ত করবে না। তাই ধারালো অস্ত্র, বিশেষ রকমের ছুরি বহন করা অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে। যাঁদের কাছে এমন অস্ত্র আছে, তাঁরা যেন তা নিকটবর্তী থানায় জমা করে আসেন।
কতটা ছুঁচালো অস্ত্র রাখা আইনত অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে, তা-ও বলে দিয়েছে আদালত। নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘‘নয় ইঞ্চি লম্বা এবং যে অস্ত্রের ধারালো অংশের প্রস্থ দুই ইঞ্চির বেশি, তেমন অস্ত্র রাখা যাবে না। তবে কৃষিকাজ, বৈজ্ঞানিক এবং শিল্পকাজ ছাড়া এমন অস্ত্র রাখা ১৯৫৯ সালের অস্ত্র আইনে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে। খোলা দোকান-বাজারেও এমন অস্ত্র কেনা এবং বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy