প্রকাশ্যে দলের সমালোচনা শর্মিষ্ঠার।
দলের ভরাডুবি নিয়ে চিন্তা নেই, বরং বিজেপির পরাজয়েই উৎফুল্ল দলের নেতারা। তা নিয়ে এ বার প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কংগ্রেস কি আঞ্চলিক দলগুলির কাছে বিজেপিকে হারানোর দায়িত্ব পালন করছে?’’
মঙ্গলবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। তাতে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। বিজেপি জয়ী হয়েছে আটটি আসনে। শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বে একসময় যে দিল্লিতে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেছে কংগ্রেস, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সেখান থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।
পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে এক দিকে যেমন বার্তা দিয়েছেন রণদীপ সুরজেওয়ালার মতো নেতারা, ঠিক সেইসময়ই বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার জন্য দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে দেখা যায় পি চিদম্বরমের মতো প্রবীণ নেতাকে। টুইটারে চিদম্বরম লেখেন, ‘‘আপ জিতেছে, ধাপ্পাবাজ এবং তর্জন-গর্জনকারীরা হেরেছে। দিল্লির মানুষ, যাঁরা কিনা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন, বিজেপির মেরুকরণ এবং বিভাজনের রাজনীতিকে হারিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ২০২১ এবং ’২২-এ যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন, তাদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য দিল্লিবাসীকে সেলাম।’’
আরও পড়ুন: গুজরাতে ৫০-৭০ লক্ষ লোকের জমায়েত হবে শুনে ঘাবড়ে গেলেন ট্রাম্প!
With due respect sir, just want to know- has @INCIndia outsourced the task of defeating BJP to state parties? If not, then why r we gloating over AAP victory rather than being concerned abt our drubbing? And if ‘yes’, then we (PCCs) might as well close shop! https://t.co/Zw3KJIfsRx
— Sharmistha Mukherjee (@Sharmistha_GK) February 11, 2020
শর্মিষ্ঠার টুইট।
চিদম্বরমের এই টুইটেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন শর্মিষ্ঠা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘স্যর আপনাকে সম্মান জানিয়েই বলছি, আমি শুধু জানতে চাই যে, কংগ্রেস কি আঞ্চলিক দলগুলির কাছে বিজেপি হারানোর দায়িত্ব পালন করছে? যদি তা না হয়, তাহলে নিজেদের হার নিয়ে পর্যালোচনা না করে, আপের জয়ে এত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছি কেন আমরা? আর যদি সেই দায়িত্বই পালন করি, তা হলে তো ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া উচিত আমাদের!’’
We r again decimated in Delhi.Enuf of introspection, time 4 action now. Inordinate delay in decision making at the top, lack of strategy & unity at state level, demotivated workers, no grassroots connect-all r factors.Being part of d system, I too take my share of responsibility
— Sharmistha Mukherjee (@Sharmistha_GK) February 11, 2020
শর্মিষ্ঠার টুইট।
আরও পড়ুন: সরকারি ওয়েবসাইট থেকে গায়েব অসম এনআরসি-র তথ্য, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কংগ্রেসের
পরাজয় নিয়ে দলকেও একহাত নেন শর্মিষ্ঠা। তিনি লেখেন, ‘‘দিল্লিতে ফের ধুলোয় মিশে গিয়েছি আমরা। অন্তর্দর্শন তো অনেক হল, এ বার পদক্ষেপ করার সময় এসেছে। শীর্ষস্তরে চটজলদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতা, উপযুক্ত কৌশল এবং একতার অভাবই আমাদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিয়েছে। নিম্নস্তরের কর্মীদের সঙ্গে সে ভাবে সংযোগই তৈরি হয়নি আমাদের। সবই পরাজয়ের পিছনে কাজ করেছে। সিস্টেমের অংশ হিসাবে এর দায় আমারও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy