সাকেত আদালতে শরজিল ইমাম। বুধবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: এপি।
বিহারে ধৃত শরজিল ইমামকে গত কাল রাতেই উড়িয়ে আনা হয়েছে। আজ সকালে তাঁকে সাকেত আদালতে তোলা হয়। আপাতত তাঁকে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল আদালত চত্বরে। শরজিলকে নিয়ে পুলিশ ঢোকা মাত্রই এক দল আইনজীবী পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান। ‘শরজিল দেশদ্রোহী’ বলে স্লোগান তোলেন তাঁরা। শরজিলের সমর্থনেও জেএনইউ-সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। আদালত চত্বরে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন দু’পক্ষ।
দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, শরজিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। মিলিয়ে দেখা হবে বিতর্কিত ভিডিয়োর সঙ্গে। ওই রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পুলিশ। শাহিন বাগ আন্দোলনে টাকা জোগানোর অভিযোগ উঠেছে কেরলের সংগঠন পিএফআইয়ের সঙ্গে। ওই সংগঠনের সঙ্গে শরজিলের যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ সাইনার, দিল্লিতে প্রচারে নামানোর পরিকল্পনা দলের
জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ জেএনইউএসইউ শরজিলের পাশে থাকলেও তার বক্তব্য থেকে আপাতত দূরত্ব বজায় রাখছে। এক বিবৃতি দিয়ে জেএনইউএসইউ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, শরজিলের বিতর্কিত বক্তব্যের সঙ্গে একমত হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু যে ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ এবং বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইন (ইউএপিএ) তড়িঘড়ি প্রয়োগ করা হচ্ছে, তারা এর বিরোধী। অভিযোগ, ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টাতেই দিল্লি ভোটের মুখে এই ঘটনা নিয়ে এত টানাহেঁচড়া করছে বিজেপি। আর যে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ ৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে কাপড়ে মুখ ঢেকে তাণ্ডব চালানো দুষ্কৃতীদের প্রসঙ্গে এখনও কার্যত নীরব— তাঁরাই অভিযোগ ওঠার পরে দ্রুত ডেকে পাঠিয়েছেন শরজিলকে। এর আগে একই অভিযোগ তুলেছে জেএনইউয়ের শিক্ষক সংগঠন জেএনইউটিএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy