মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কি আবার ভাঙন? বিরোধী জোট ‘মহা বিকাশ আঘাড়ী’র দুই শরিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু। সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দেকে নিয়ে প্রশংসা শোনা যায় এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শরদ পওয়ারের গলায়। সূত্রের খবর, যা ভাল ভাবে নেননি শরদের জোটসঙ্গী উদ্ধব ঠাকরে।
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের এক সাহিত্য সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শরদ। তাঁর সভাপতিত্বেই আয়োজিত হয়েছিল এই সম্মেলন। সেখানেই একনাথকে সম্মানিত করা হয়। একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শরদ এবং একনাথ। সেই মঞ্চ থেকেই মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রশাসক শিন্দের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন শরদ।
বর্ষীয়ান রাজনীতিকের এ হেন আচরণ ভাল ভাবে নেয়নি জোটসঙ্গী উদ্ধবসেনা। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উদ্ধব। তিনি জানিয়েছেন, এনসিপি নেতার ওই অনুষ্ঠানে না যাওয়াই উচিত ছিল। শরদের মন্তব্যের জেরে অন্য শরিক এবং কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ভুল বার্তা গেল। রাজনৈতিক ক্ষেত্রের বাইরে বিরোধীদের প্রশংসা করার ঘটনা শরদের জন্য নতুন নয়। জানুয়ারিতেই শরদের মুখে শোনা গিয়েছিল আরএসএস প্রসঙ্গ। ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র জয়ের নেপথ্যে আরএসএস-কে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন শরদ।
আরও পড়ুন:
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস, উদ্ধবসেনার সঙ্গে ‘মহা বিকাশ আঘাড়ী’র শরিক হিসাবে লড়েছিল এনসিপি (শরদ পাওয়ার)। ১০২টি আসনে লড়ে কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র ১৬টিতে। পেয়েছিল সাড়ে ১২ শতাংশেরও কম ভোট। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি) ৯২টিতে লড়ে ২০টি এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি(এস) ৮৬টিতে লড়ে ১০টি আসনে জয়ী হয়।