প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, লালবাহাদুর শাস্ত্রী-সহ সব প্রধানমন্ত্রীই রাজনৈতিক শালীনতা মানতেন। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই শালীনতার পরোয়া করছেন না বলে অভিযোগ শরদ পওয়ারের। পাঁচ রাজ্যে ভোটের মরসুমে তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে গিয়ে অভূতপূর্ব ভাবে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। ভারতীয় রাজনীতির সংস্কৃতিতে এই ঘটনা প্রথম ঘটছে বলেই তাঁর দাবি।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ গঠনের সময়ে পওয়ারকে যথেষ্ট সক্রিয় দেখিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে সহযোদ্ধাদের বড় অংশের অভিযোগ ওঠে, তিনি মোদী তথা শাসক দলের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে চলছেন। তবে সম্প্রতি অন্তত প্রকাশ্যে
দুই নেতা পরস্পরকে আক্রমণ করেছেন।
মহারাষ্ট্রের শোলাপুর জেলায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরে পওয়ার বলেন, ‘‘কলেজে পড়ার সময় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর বক্তৃতা শুনেছি। লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী, বিভিন্ন প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনেছি। তাঁরা যে রাজ্যে যেতেন, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের কখনও অসম্মান করতেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল, নরেন্দ্র মোদীই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে আমি দেখছি বিভিন্ন রাজ্যে যাচ্ছেন, সেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। এই ধরনের রাজনীতি আমি কখনও দেখিনি।’’
এখানেই না থেমে পওয়ারের শ্লেষ, ‘‘যখন কোনও দল আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, তখন নেতারা ব্যক্তিগত আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকেন। ভোটের মুখে দাঁড়ানো পাঁচ রাজ্যে যা দেখা যাচ্ছে, আমি নিশ্চিত, মানুষ এই ধরনের আক্রমণ মেনে নেবেন না। মোদীকে এই ভুলের দাম দিতে হবে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এই ধরনের ছলাকলার আশ্রয় নিচ্ছেন যে ব্যক্তি, তাঁর হাতেই দেশের ভার।’’
প্রধানমন্ত্রী ঝড়ের বেগে প্রচারসভা করেছেন ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গনায়। এটাও দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি জনসভায় মোদী নাম করে অশোক গহলৌত, কেসিআর, ভূপেশ বঘেলকে আক্রমণ করছেন। কখনও তাঁদের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির
অভিযোগ আনছেন, অথবা জনজাতি সম্প্রদায়কে ঠকানোর জন্য দায়ী করছেন। একই সঙ্গে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও প্রতিদিনই নিশানা করছেন মোদী।
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষে আহমেদনগর জেলার শিরডি শহরে কৃষকদের সমাবেশে পওয়ারের নাম না করে মোদী বক্রোক্তি করেছিলেন, তিনি ‘ব্যক্তিগত ভাবে’ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে ‘সম্মান’ করেন। কিন্তু সেই মন্ত্রী কৃষকদের নাম করে ‘রাজনীতির খেলা খেলেছেন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy