Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
National News

‘মানুষ বিজেপির বিকল্প চাইছেন, জোট গড়তে একটু দেশে থাকতে হবে’, ইঙ্গিতে রাহুলকে খোঁচা শরদের

জাতীয় স্তরে এনডিএ-র কোনও বিকল্প রাজনৈতিক জোট গড়ার তোড়জোড় চলছে কি না, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার শরদ বলেন, ‘‘দেশের কোনও কোনও অংশে বিজেপি ও তার জোট শরিকদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ার ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। মানুষ একটা পরিবর্তন চাইছেন। সেই পরিবর্তনের জন্য একটি যথোপযুক্ত বিকল্প দরকার। তাকে শক্তিশালী তো হতে হবেই, স্থায়ীও হতে হবে।’’

এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। ছবি- পিটিআই।

এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। ছবি- পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নাগপুর শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৩০
Share: Save:

দেশের মানুষ কেন্দ্রে শাসক দল বিজেপির একটি শক্তিশালী ও স্থায়ী বিকল্প চাইছেন। তবে সেই জোট গড়ে তোলার জন্য নেতাদের একটু বেশি সময় দেশে থাকতে হবে। এমনটাই মনে করেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা শরদ পওয়ার

জাতীয় স্তরে এনডিএ-র কোনও বিকল্প রাজনৈতিক জোট গড়ার তোড়জোড় চলছে কি না, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার শরদ বলেন, ‘‘দেশের কোনও কোনও অংশে বিজেপি ও তার জোট শরিকদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ার ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। মানুষ একটা পরিবর্তন চাইছেন। সেই পরিবর্তনের জন্য একটি যথোপযুক্ত বিকল্প দরকার। তাকে শক্তিশালী তো হতে হবেই, স্থায়ীও হতে হবে।’’

এর পর অবশ্য নামোল্লেখ না করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকে কিছুটা খোঁচা দেন এনসিপি সুপ্রিমো। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে তুমুল প্রতিবাদ, বিক্ষোভের সময় রাহুল কী ভাবে সেই সব ছেড়েছুড়ে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গেলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা চালাচালি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

সম্ভবত সে কথা মাথায় রেখেই এ দিন শরদ বলেন, ‘‘বিকল্প জোট গড়ে তোলার জন্য নেতাদের দেশে আরও বেশি করে সময় দিতে হবে। দেশে থাকতে হবে বেশি। মনে হচ্ছে, বিজেপি-বিরোধী দলগুলি এ বার কাছাকাছি আসতে চাইছে। অন্তত কয়েকটি সাধারণ ইস্যুতে। তাই বিরোধীদের সংগঠিত করতে নেতাদের দেশে থেকে সময় আরও বেশি দিতে হবে।’’

স‌ংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে দেশের একটি অংশে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে, তা তাঁর কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল না বলেও জানিয়েছেন শরদ। বলেছেন, ‘‘যেখানে বিজেপি-অগপ জোট সরকার রয়েছে, সেই অসমেও তো ওই বিক্ষোভ তুঙ্গে পৌঁছেছে।’’

এনসিপি-র প্রথম সারির নেতা প্রফুল পটেল প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জির মাধ্যমে যদি রাজ্যে রাজ্যে এই ভাবে বন্দিশালা বানানো হয়, তা হলে এমন কতগুলি বন্দিশালা গড়া হবে? আর সেগুলিতে কত দিন ধরেই বা আটকে রাখা হবে মানুষকে?’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy