শঙ্করসিন বাঘেলা। ছবি সংগৃহীত
শঙ্করসিন বাঘেলার মোটরবাইকে চেপে এক সময় গুজরাত দাপিয়ে বেড়াতেন নরেন্দ্র মোদী। তার পরে বিদ্রোহ করে বিজেপি ছাড়েন বাঘেলা। প্রথমে নিজের দল তৈরি করেন, তার পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। মোদী ও বাঘেলা হয়ে ওঠেন একে অপরের প্রবল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী।
গুজরাতের রাজনীতিতে ‘বাপু’ বলে পরিচিত ৭৯ বছরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলা কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। শনিবার তাঁর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ফোন করে শরীরের খোঁজখবর নিলেন।
এর পরে বিজেপি নেতারা মোদীর সৌজন্যবোধ নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁদের যুক্তি, নরেন্দ্রভাই যে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও স্বাস্থ্য সম্পর্কে খেয়াল রাখেন, এ তাঁর প্রমাণ। মোদীর মতোই বাঘেলারও রাজনীতিতে হাতে খড়ি সঙ্ঘ-পরিবারে। পরে বাঘেলা কংগ্রেসে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদী যখন ২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রী হয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ছেন, তখন বাঘেলাই বিরোধী দলনেতা। বিধানসভায় বিদায় সম্বর্ধনায় তিনি মোদীকে বলেছিলেন, এবার কেন্দ্রে গিয়ে রামমন্দির, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, গোমাংস রফতানি বন্ধ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পালন করুন। মোদী যে গুজরাতের গোধরায় সঙ্ঘের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছিলেন, সুকৌশলে বাঘেলা সেদিন সেটাও মনে করিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন।
বাঘেলা এখন অবশ্য কংগ্রেসে নেই। ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে ফের নতুন গড়ে নির্বাচনে নেমেছিলেন। লাভ হয়নি। তার পরে এনসিপি-তে যোগ দেন। গত সপ্তাহে এনসিপি-ও ছেড়েছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী তাঁর খোঁজখবর নেওয়ার পরে বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী অতিমারির সময় বিজেপি-আরএসএসের অনেক প্রবীণ নেতারাই খোঁজখবর নিচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy