৬ সেপ্টেম্বর ভোটের দিনই সিংহভাগ গণনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এ বার ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে আসছেন কানহাইয়া কুমারদের উত্তরসূরি বঙ্গতনয়া ঐশী ঘোষ (বাঁ-দিকে)। ছবি: পিটিআই।
জেএনইউ ফের বামেদের দখলেই। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে দিন দশেক আটকে ছিল ফলপ্রকাশ। কিন্তু আজ আদালত অনুমতি দিতেই দিল্লির জওহরলাল নেহরু ক্যাম্পাস আবার ‘লালে লাল’! ৬ সেপ্টেম্বর ভোটের দিনই সিংহভাগ গণনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এ বার ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে আসছেন কানহাইয়া কুমারদের উত্তরসূরি বঙ্গতনয়া ঐশী ঘোষ। আজ ফল প্রকাশের পরে জানা গেল, ২৩১৩টি ভোট পেয়ে জিতেছেন এসএফআইয়ের প্রার্থী ঐশী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এবিভিপি-র মণীশ জাংগিদের ঝুলিতে ভোট পড়েছে ১১২৮টি। সংসদের চারটি কেন্দ্রীয় আসনেই জয়ী বামেরা।
৩৩৬৫টি ভোট পেয়ে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাম জোটের প্রার্থী সাকেত মুন। এখানেও ধরাশায়ী এবিভিপি-র শ্রুতি অগ্নিহোত্রী— পেয়েছেন ১৩৩৫টি ভোট। সংসদের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত সতীশচন্দ্র যাদব পেয়েছেন ২৫১৮টি ভোট। আর যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন বাম জোটেরই মহম্মদ দানিশ।
ছাত্রভোট হয়েছিল ৬ সেপ্টেম্বর। ভোট পড়েছিল সাত বছরের রেকর্ড— প্রায় ৬৮ শতাংশ। কিন্তু নির্বাচনের ‘বৈধতা’ নিয়ে দুই পড়ুয়া প্রশ্ন তোলায় ফল ঘোষণা আটকে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আজ সেই মামলার শুনানি শেষে জেএনইউ নির্বাচন কমিটিকে ফল প্রকাশের অনুমতি দিল আদালত।
কোর্টের রায় শুনেই আজ ফের ‘লাল লহর’ ওঠে ক্যাম্পাসে। বাম জোটের বিদায়ী সভাপতি এন বালাজি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল নিতে চেয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়ারাই ওঁদের হারিয়ে দিলেন।’’ কোর্টের রায়কে ‘গণতন্ত্রের জয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ফল প্রকাশের অনুমতি দিয়ে আজ কোর্ট জানায়, এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি লিংডো কমিশনের সুপারিশ মেনে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরে নির্দেশ দিলেই ফল ঘোষণা হবে ছাত্রভোটের। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেরোল ফল।
ফল প্রকাশের কথা ছিল ৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু তার আগে দিল্লি হাইকোর্টে যান দুই পড়ুয়া অংশুমান দুবে ও অমিত দ্বিবেদী। তাঁদের অভিযোগ ছিল— এই ভোট লিংডো কমিটির সুপারিশ মেনে হয়নি, বেআইনি ভাবে মনোনয়ন খারিজ করা হয়েছে এবং অন্যায় ভাবে আসন কমিয়েছে নির্বাচন কমিটি। এ সব শুনেই প্রাথমিক ভাবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফল প্রকাশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। আজ কোর্টে অবশ্য তাঁদের একটি আর্জিও ধোপে টেকেনি। অংশুমানের অভিযোগ ছিল, ৫৫ থেকে কাউন্সিলর পদ কমিয়ে ৪৬ করা হয়েছে। এর জবাবে নির্বাচন কমিটির কৌঁসুলি মানব কুমার কাগজপত্র পেশ করে জানান, এখানে কোনও দিনই ৫৫টি কাউন্সিলর পদে ভোট হয়নি। আসনও কমেনি। বরং গত বছরের ৩০টি থেকে বেড়ে ৪৪ হয়েছে এ বার। লিংডো কমিশনের সুপারিশ না-মানার অভিযোগও আজ উড়িয়ে দেন কেন্দ্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নিযুক্ত কৌঁসুলিরা। তার পরেই ফল ঘোষণার অনুমতি দেয় কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy