ফাইল ছবি।
জ্ঞানবাপী-বিতর্ক থিতোনোর নাম নেই। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সমীক্ষা রিপোর্টও মুখবন্ধ খামে জমা পড়ল বারাণসীর আদালতে। যদিও আদালতে তা জমা পড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেই রিপোর্ট চলে এল প্রকাশ্যে। এমন স্পর্শকাতর বিষয়ের রিপোর্ট আদালত খতিয়ে দেখার আগেই কী ভাবে বাইরে চলে এল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রিপোর্টে, মসজিদের বেসমেন্টে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে পদ্ম, ডমরু, ত্রিশূলের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত নিযুক্ত বিশেষ কমিশনার বিশাল সিংহের জমা দেওয়া রিপোর্টে ওই নির্মাণের উল্লেখ রয়েছে। তিনি রিপোর্টে জানিয়েছেন, সনাতন সংস্কৃতির বিভিন্ন চিহ্ন মসজিদ থেকে পেয়েছেন। বিশালের কথায়, ‘‘মসজিদের বেসমেন্টের দেওয়ালে বিভিন্ন সনাতন ধর্মের চিহ্ন, যেমন পদ্ম, ডমরু, ত্রিশূল পাওয়া গিয়েছে।’’
হিন্দু পক্ষের আবেদনকারীদের আইনজীবী অজয় মিশ্রের দাবি, এই সপ্তাহের গোড়ায় আদালত নির্দেশিত সমীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। তিনি বলেন, মসজিদে যে ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে তা সম্ভবত কোনও মন্দিরের। সেখানেই শেষনাগের ফণা দেখতে পেয়েছেন বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে তলায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে ধ্বংসাবশেষ দেখে মনে হয়েছে ওগুলো ৫০০-৬০০ বছরের পুরনো।’’
এর আগে বারাণসীর আদালত অজয়কে আদালত নিযুক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সংবাদমাধ্যমকে ছবি সরবরাহ করার জন্য নিজের উদ্যোগে এক জন ভিডিয়ো চিত্রগ্রাহককে ভাড়া করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy