গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের সুপারিশ না মানায় তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবিকে সতর্কবাণী শোনাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ছাড়পত্র মেলার পরে স্ট্যালিন সুপারিশ করলেও ডিএমকে বিধায়ক কে পোনমুড়িকে মন্ত্রিপদে শপথগ্রহণ করাতে সম্মত হননি রাজ্যপাল রবি। শীর্ষ আদালত তাঁর ওই ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
গত বছর ডিসেম্বরে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর উচ্চশিক্ষামন্ত্রী পোনমুড়ি। মাদ্রাজ হাই কোর্ট তাঁকে তিন বছরের জেলের সাজা দেওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছিল। গিয়েছিল মন্ত্রিত্বও। চলতি মাসে সুপ্রিম কোর্ট সাজার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় বিধায়কপদ ফিরে পান পোনমুড়ি। এর পরেই তাঁকে ফের মন্ত্রী করার জন্য রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন।
কিন্তু ‘সাংবিধানিক নৈতিকতা’র যুক্তি দেখিয়ে পোনমুড়িকে মন্ত্রিসভায় ফেরত আনার প্রস্তাব খারিজ করে দেন রাজ্যপাল রবি। রাজ্যপালের ওই আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বলেছে, ‘‘আমরা রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে গুরুতর উদ্বিগ্ন। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে অমান্য করছেন। সুপ্রিম কোর্টের সাজা স্থগিত করার পরে তিনি কী ভাবে বলতে পারেন, যে মন্ত্রীকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা সাংবিধানিক নৈতিকতার পরিপন্থী?”
প্রসঙ্গত, পোনমুড়ি এবং তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি ২০০২ সালের। সেই সময় রাজ্যে এডিএমকে-র সরকার ছিল। ‘ডিরেক্টরেট অফ ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি করাপশন’ (ডিভিএসি)-এর অভিযোগ, ১৯৯৬-২০০১ সালের মধ্যে মন্ত্রী থাকাকালীন পোনমুড়ি প্রচুর বেনামী সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। প্রয়াত ডিএমকে নেতা করুণানিধির আস্থাভাজন নেতা পোনমুড়ি ১৯৮৯ সালে ভিল্লুপুরম থেকে প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy