১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছিলেন। তার জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ চাকরি ছাড়ার পর ১,৩৪১.৩৫ টাকা গ্র্যাচুইটি পেয়েছিলেন শিখ রেজিমেন্টের সিপাই শ্যাম সিংহ। যুদ্ধে আক্রান্তদের পেনশনের দাবিতে এর পর লড়াই শুরু করেন তিনি। ৫০ বছরের লড়াই শেষে ২০২১ সালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আইনি লড়াইয়ে জয় এল মৃত্যুর পর। যুদ্ধ আক্রান্ত ও পঙ্গুদের জন্য নির্দিষ্ট পেনশন এ বার থেকে পাবেন শ্যামের স্ত্রী কারনেইল কৌর।
শ্যামের স্ত্রী কৌরকে এই পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আর্মড ফোর্স ট্রাইব্যুনাল (এএফটি)-র বিচারপতি ডিসি চৌধুরী এবং লেফটেনান্ট জেনারেল রণবীর সিংহের বেঞ্চ জানিয়েছে, যুদ্ধে আক্রান্ত এক জওয়ানের প্রতি ‘কঠোর এবং নির্মম’ আচরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মোহালি জেলার খানপুর খদ্দরের বাসিন্দা ছিলেন শ্যাম। ১৯৬৬ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর পুঞ্চ সেক্টরে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। সে সময় তাঁর সামনেই পাকিস্তানের মর্টার বোমা বিস্ফোরণ হয়। রাজৌরির সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। একটি চোখের দৃষ্টি হারিয়েছিলেন শ্যাম। যদিও মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছিল, দু’বছরের জন্য ২০ শতাংশ অক্ষম হয়েছেন তিনি। এর ফলে সেনাবাহিনীতে আর কখনও যোগ দিতে পারবেন না। তবে এর জন্য ক্ষতিপূরণেরও প্রয়োজন নেই।
প্রিন্সিপাল কন্ট্রোলার ডিফেন্স অ্যাকাউন্টস (পেনশন) থেকে সহযোগিতা না পেয়ে ২০১৭ সালে চণ্ডীগড়ের এএফটিতে আবেদন করেন। মোহালির অবসরপ্রাপ্ত সেনার একটি সংগঠন তাঁর হয়ে মামলা লড়ে। শেষ পর্যন্ত জয়। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর চাকরিতে ছিলেন তিনি। এর পর চণ্ডীগড়ের শ্রম কমিশনে চৌকিদারের চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। অবসরের পর ৮,০০০ টাকা পেনশন পেতেন। এখন সেই পেনশনের সঙ্গেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর থেকে মাসে ১৮,০০০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন তাঁর স্ত্রী।