কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব অপূর্ব চন্দ্রকে উদ্ধৃত করে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ প্রতিটি হাসপাতালে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ বর্ধিত করা হবে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য কেন্দ্রের অধীনস্থ হাসপাতালগুলিতে মার্শালদের মোতায়েন করা হবে। একই সঙ্গে আরও বেশি সিসি ক্যামেরা ও অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার হবে।”
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ চলছে গোটা দেশে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় সেমিনার কক্ষ থেকে মিলেছিল চিকিৎসকের দেহ। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত কী ভাবে হাসপাতালের চারতলায় পৌঁছে গেলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে।
আরও পড়ুন:
এই প্রতিবাদ, আন্দোলনের আবহেই দেশের অন্যতম বড় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ দফা দাবিতে শনিবার ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। যার প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই-সহ দেশের একাধিক বড় শহরে। সংগঠনের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল, কর্মস্থলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা। শনিবারই কেন্দ্রের তরফে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কেন্দ্র আশ্বাস দেয়, হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা সুপারিশের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের পরও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসকদের হেনস্থা ও নিগ্রহের অভিযোগ উঠে এসেছে। শনিবার রাতে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে রোগী ও তাঁর পরিজনদের বিরুদ্ধে। এর পর রবিবার রাতে কাশ্মীরের রাজৌরিতে এক হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এ সবের মধ্যে সোমবার বিকালে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে মার্শাল মোতায়েন ও সিসি ক্যামেরার নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।