জল ভরো: লাইনে চেন্নাই। ছবি: এপি
চেন্নাই জুড়ে জলের হাহাকার। বহুজাতিক সংস্থা থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁ সর্বত্রই জল-খরচে রাশ টানার মরিয়া চেষ্টা। সিটিএসের মতো তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা যেমন ক্যান্টিন ও জিমে জলের ব্যবহার কমিয়েছে, তেমনই জলসঙ্কটের কথা জানিয়েছে মূল ফটকের সামনে নোটিস ঝুলিয়েছে অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে জলাধারগুলি থেকে চেন্নাই শহরে জল সরবরাহ করা হয়, সে গুলিতে জল কার্যত তলানিতে পৌঁছেছে। গত বছর খুব কম বৃষ্টির কারণেই এই জলসঙ্কট।
টানা ২০০ দিন চেন্নাইয়ে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়নি। তীব্র গরমে জলসঙ্কট চরমে। কিছু দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে ওই সঙ্কট আরও ভয়াবহ আকার নেবে। এই পরিস্থিতিতে শহরের টিসিএস, উইপ্রো ও সিটিএসের মতো বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা জল খরচে কাটছাট করতে শুরু করেছে। সিটিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘জলখরচ বাঁচাতে পরিবেশ-বান্ধব প্লেট ব্যবহার করছি। জিমে সাময়িক ভাবে স্নানের ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে।’’ বেশ কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ দিয়েছে।
দক্ষিণ চেন্নাইয়ে একটি ছোট হোটেলের কর্মকর্তা পি চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘সব হোটেলে জল বাড়ন্ত। জলসঙ্কটের কারণে অনেকে হোটেলেরই ঝাঁপ বন্ধের আশঙ্কা।’’
মূলত উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে অক্টোবরে চেন্নাইয়ে বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, গত বছরের শেষ তিন মাসে দক্ষিণের এই শহরে অত্যন্ত কম বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে প্রধান চারটি জলাধার থেকে চেন্নাইয়ে জল সরবরাহ হয়, সে গুলিতে গত বছরের তুলনায় এখন একশো ভাগের এক ভাগ জল রয়েছে। পুরমন্ত্রী এস পি ভেলুমানি বলেন, ‘‘২০১৭ সালে প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার জল সরবরাহ করেছিলাম। এ বার এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৫২ কোটি লিটার জল সরবরাহ করা হয়েছে।’’ বিভিন্ন জায়গায় জলের ট্যাঙ্কার ঘিরে বালতি হাতে শহরবাসীকে ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে। অনেক জায়গায় জল নিয়ে বিবাদেও জড়িয়ে পড়ছেন শহরের বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy