সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র
তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই)-এর আওতায় কি দেশের প্রধান বিচারপতি? বুধবার তা নিয়ে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতিকে আরটিআইয়ের আওতায় আনার স্বপক্ষে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। ২০১০ সালে দিল্লি হাইকোর্টের সেই রায় এবং কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান শীর্ষ আদালতের সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় জনসংযোগ আধিকারিক। বুধবার দুপুর দুটোয় সেই মামলারই রায় ঘোষণা হবে বলে শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের নোটিসে বলা হয়েছে, আগামিকাল দুপুর দুটোয় রায় ঘোষণা হবে।
এর আগে, গত ৪ এপ্রিল রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সে সময় তিনি বলেন, ‘‘কেউই অন্ধকারে থাকতে চায় না, অন্যকেও অন্ধকারে রাখতে চায় না। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে একটা সীমারেখা টানা নিয়ে। স্বচ্ছতার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা যায় না।’’
আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, মহারাষ্ট্রে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন, বিজ্ঞপ্তিতে সই করলেন রামনাথ কোবিন্দ
সাংবিধানিক বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি এনভি রামানা, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, দীপক গুপ্ত এবং সঞ্জীব খন্না। গত ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি ওই মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি আরটিআই আইনের আওতায় বলে নির্দেশ দিয়েছিল ওই আদালত। সেই সঙ্গে ৮৮ পাতার রায়ে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোনও বিচারপতির সুবিধা হতে পারে না, বরং এতে তাঁর উপরেই দায়িত্ব বর্তায়।’
আরও পড়ুন: সরকার গড়তে মাত্র এক দিন সময়! রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল ক্ষুব্ধ শিবসেনা
প্রধান বিচারপতিকে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় আনার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছেন সমাজকর্মী এস সি আগরওয়াল। তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মতে, তথ্য জানানোর ব্যাপারে বিচারবিভাগের অনিচ্ছা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ এবং ‘বিরক্তিকর’। ‘‘বিচারপতিরা কি ভিন্ন জগতের মানুষ?’’— এই প্রশ্নও তুলেছেন প্রশান্ত ভূষণ। রাষ্ট্রের অন্যান্য বিভাগের স্বচ্ছতার পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট সওয়াল করলেও, নিজেদের ব্যাপারে তারা দ্বিধাগ্রস্ত বলেও শীর্ষ আদালতকে জানান তিনি। কলেজিয়াম পদ্ধতিতে বিচারপতি এবং আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন দেরি হয় সেই প্রশ্নও তুলেছেন প্রশান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy