ভিডিয়ো বার্তায় হেনস্থার অভিযোগ আনেন ওই তরুণী। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। তার পর গত ছ’দিনেও উত্তরপ্রদেশের সেই তরুণীর নাগাল পায়নি পুলিশ। কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণ আগেই পরিস্থিতি বদলে গেল। পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, রাজস্থানে এক বন্ধুর সঙ্গে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ওই তরুণীকে। কিন্তু তাদের সেই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত। এই মুহূর্তে ওই তরুণী কোথায় এবং কী অবস্থায় রয়েছেন, তা সবিস্তারে রাজ্য সরকারকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত শনিবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনেন উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ‘এসএস ল কলেজ’-এর স্নাতকোত্তর স্তরের এক পড়ুয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জানান, তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তার পর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। মেয়েটির নিরাপত্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে কয়েক দিন আগে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন একদন মহিলা আইনজীবী। এই ঘটনাও উন্নাও কাণ্ডের মতো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।
এ দিন দুপুরে সেই মামলার শুনানি ছিল। তার কিছু ক্ষণ আগেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ টুইটারে জানায়, ‘রাজস্থানে এক বন্ধুর সঙ্গে ওই তরুণীকে খুঁজে পেয়েছে শাহজাহানপুর পুলিশ। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’ এর পর সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেন রাজ্যের ডিজিপি ওপি সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েটির খোঁজে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। প্রযুক্তিগত নজরদারিও চালানো হয়। ওই তরুণী সুস্থ এবং হাসিখুশি রয়েছেন। নিজের ইচ্ছাতেই তিনি একাধিক জায়গায় গিয়েছিলেন বলে ধারণা আমাদের।’’
আরও পড়ুন: সেঙ্গারের মতোই তিনিও ষড়যন্ত্রের শিকার, ছাত্রী অপহরণ কাণ্ডে মন্তব্য চিন্ময়ানন্দের
কিন্তু ওই তরুণী কীভাবে রাজস্থান পৌঁছলেন, তা নিয়ে এখনও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। আর তাতেই অসন্তোষ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। পুলিশের দাবি আদৌ সত্য কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি আর ভানুমতী এবং এএস বোপান্না। ওই তরুণী কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগী সরকারকে তা জানাতে নির্দেশ দেয় আদালত। ওই তরুণীর সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলতে চান, তাই কত ক্ষণে তাঁকে আদালতে আনা সম্ভব হবে, তাও জানাতে চান। জবাবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী জানান, রাজস্থান থেকে ফতেপুর সিক্রি আনা হয়েছে ওই তরুণীকে। সেখান থেকে দিল্লি নিয়ে আসতে আড়াই ঘণ্টা লাগতে পারে।
এর এগে, মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন। ভিডিয়োয় ওই তরুণী কারও নাম না করলেও, গোটা ঘটনার পিছনে ‘এস এস ল কলেজ’-এর ডিরেক্টর জেনারেল স্বামী চিন্ময়ানন্দই জড়িত বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলেও দাবি তোলেন। যদিও শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ। উন্নাও কাণ্ডে কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের মতো তাঁকেও ফাঁসানো হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, তিন দিন ধরে খোঁজ নেই তরুণীর!
তার মধ্যেই ওই তরুণীকে দিল্লিতে এক পুরুষের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি বিশেষ সূত্র। বলা হয়, ওই ব্যক্তি চিন্ময়ানন্দের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা তোলা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। তবে এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy