— ফাইল ছবি
সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা কার্যকর করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে আরও এক মাস সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতেই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ওই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য আরও ৬ মাস সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এ নিয়ে সরকারের শুধু মাত্র ‘যথেষ্ট’ ব্যবস্থা কাম্য নয়। সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী কমিশনড পদে নিয়োগ নিয়ে ‘সম্পূর্ণ’ পদক্ষেপ চাই।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা কার্যকর করার নির্দেশ দেয়। একমাত্র কমব্যাট উইং ছাড়া সেনাবাহিনীর সব স্তরে তিন মাসের মধ্যে এই নিয়ম চালু করতে বলা হয় কেন্দ্রকে। শীর্ষ আদালতের বেঁধে দেওয়া সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে আগেই। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে আরও ৬ মাস সময় চেয়ে আবেদন করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে এ-ও বলা হয়, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ যথাযোগ্য ভাবে পালনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ দিন আদালতে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মহিলা অফিসারদের পক্ষের আইনজীবী মীনাক্ষি লেখি এবং মীনাক্ষি অরোরা। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় কিছুটা ভর্ৎসনার সুরেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আইনজীবী আর বালসুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘‘চেষ্টা করছি বলতে আপনারা কী বোঝাতে চাইছেন? যথেষ্ট পদক্ষেপ বলে কিছু হয় না। যদি আদালত নির্দেশ দিয়ে থাকে তা হলে আপনাদের সম্মতি দিতেই হবে।’’
এর পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আইনজীবী আর বালাসুব্রহ্মণ্যম শীর্ষ আদালতকে আশ্বাস দেন, এ নিয়ে সরকার যে কোনও দিনই চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে। তাঁর বক্তব্য নথিভুক্ত করে আদালত। তাঁকে আরও এক মাস সময়ও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ বাড়ছে, এলাকা ভিত্তিক আরও কড়া লকডাউনের পথেই কি হাঁটবে রাজ্য?
ফেব্রুয়ারির রায়ে শীর্ষ আদালত বলে, সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। একমাত্র কমব্যাট উইং ছাড়া সেনাবাহিনীর সব স্তরে এই নিয়ম চালু করতে কেন্দ্রকে ৩ মাস সময়ও দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ওই ঐতিহাসিক রায়ে শর্ট সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) আওতায় যে সমস্ত মহিলা ১৪ বছরের বেশি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন, তাঁদের স্থায়ী কমিশনে শামিল করতেও নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: চিনের সেনা সরানো ৬২ সালের পুনরাবৃত্তি নয়তো! সতর্ক বাহিনী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy