জোশীমঠের চেয়েও বড় বিপর্যয় দেখতে হতে পারে উত্তরাখণ্ডকে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’র তরফে উপগ্রহচিত্রের ভিত্তিতে তৈরি করা সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচলপ্রদেশের বেশ কিছু পাহাড়ি জেলায় ভূমিধস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ভূমিধসের সম্ভাবনার নিরিখে ১৭টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৪৭টি ‘সম্ভাব্য ভূমিধসক্ষেত্রের মধ্যে’ প্রথম সারিতে হয়েছে উত্তরাখণ্ডের দুই জেলা রুদ্রপ্রয়াগ এবং টিহরী গঢ়ওয়াল। ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনএইচআরসি) এবং ইসরোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ভারতে ৮০ হাজারেরও বেশি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ২০১৩ সালে অন্যতম ভয়াবহ ধস দেখেছে উত্তরাখণ্ডের তীর্থক্ষেত্র কেদারনাথ।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ডিসেম্বরে জোশীমঠের বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেও আগাম পূর্বাভাস দিয়েছিল ইসরো। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ৯ সেন্টিমিটার ডুবে গিয়েছে জোশীমঠ, তা আরও প্রবল আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত করে জানুয়ারির গোড়া থেকে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘরবাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করে। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড সরকার পরিচালিত শ্রী দেব সুমন উত্তরাখণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চার সদস্যের ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, বর্ষা এলে আরও ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে জোশীমঠে।