১৫-২০ দিনে পড়ে যাবে মহারাষ্ট্র সরকার! দাবি উদ্ধবসেনা সঞ্জয় রাউতের। ফাইল চিত্র।
আর মাত্র ১৫-২০ দিন। তারপরই মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকারের পতন হবে! রবিবার এমনই দাবি করলেন উদ্ধবপন্থী শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তবে কী কারণে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন, তার ব্যাখ্যা দেননি রাজ্যসভার এই সাংসদ। তাঁর কথায়, “শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকারের মৃত্যু পরোয়ানা আগেই লেখা হয়ে গিয়েছে। এ বার শুধু দিন ঘোষণা হওয়াই বাকি।” রাউতের এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে।
মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’র অন্যতম শরিক এনসিপি। এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শিবিরে ভিড়তে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। এনসিপির তরফে তো বটেই, অজিতের তরফেও এমন জল্পনার কথা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে শনিবার অজিত একটি সাক্ষাৎকারে জানান, ২০২৪ নয়, তিনি এখনই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রস্তুত। তাঁর এই বক্তব্যের বিভিন্ন ব্যাখ্যা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, একনাথ শিন্ডে শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার পর আসনসংখ্যার বিচারে এনসিপি-ই এখন বিরোধী জোটের বৃহত্তম দল। সেই সুবাদে পরবর্তী নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদটি নিয়ে উদ্ধবসেনার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে তারা।
গত বছরই অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিবসেনা ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান শিন্ডে। পদ্মশিবিরের সমর্থনে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও হন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। আসনসংখ্যার নিরিখে তাঁর গোষ্ঠীটিকেই ‘প্রকৃত’ শিবসেনার মর্যাদা দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে এই বিষয়ে এবং দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাউত বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসেই এই সরকার পড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়দান পিছিয়ে যাওয়ায় নতুন করে জীবন ফিরে পায় এই সরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy