অখিলেশ যাদব। —ফাইল চিত্র।
প্রধানের হয়ে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সভা এবং প্রশাসনিক কাজ সামলান তাঁর দেওর। উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকি জেলার এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। অনেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয় সিরিজ় ‘পঞ্চায়েত’-এর সঙ্গে তুলনা করছেন। অন্য দিকে, সমাজবাদী পার্টির ওই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানের হয়ে কেন তাঁর আত্মীয় প্রতিনিধিত্ব করবেন, এ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই তাঁদের দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন সে দলের প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি মনে করেন এটা সাধারণ ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে অহেতুক জলঘোলা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগে বরাবাঁকির বেলহারা পঞ্চায়েতে ভাল ফল করা পড়ুয়াদের জন্য ল্যাপটপ উপহার দেওয়ার আয়োজন করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। সেই অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত প্রধান শাবানা খাতুনকে কোথাও দেখা যায়নি। বরং তাঁর দেওর যিনি খাতায় কলমে পঞ্চায়েতের কেউ নন, তিনি ওই অনুষ্ঠানের পৌরাহিত্য করেন। এমনকি, আয়াজ খান নামে ওই ব্যক্তির নামে পোস্টার পড়ে এলাকায়। তাঁর নামের পাশে লেখা ছিল ‘চেয়ারম্যান’। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু প্রধানকে কেন কোথাও দেখা যায়নি এ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। স্থানীয়রা জানান, পঞ্চায়েতের কোনও কাজে সই-সাবুদ প্রয়োজন হলে সেটা প্রধানের বাড়িতে পাঠাতে হয়। বাড়ি থেকেই কাজ করেন তাঁদের প্রধান।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ওই ঘটনার কথা তুলে ধরে সমাজবাদী পার্টির প্রধানকে প্রশ্ন করেছিলেন কয়েক জন সাংবাদিক। প্রশ্ন করা হয়েছিল, মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে তিনি কী মনে করেন। যার জবাবে অখিলেশের মন্তব্য, ‘‘এটা কি নতুন কোনও ঘটনা? অনেক পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীই স্ত্রীর হয়ে কাজ করেন। এটা কোনও বিষয় হল?’’ এর পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে অখিলেশের প্রশ্ন, ‘‘এখন আমাকে বলুন, কেন এখানে সবাই পুরুষ সাংবাদিক এসেছেন?’’ সঙ্গে সঙ্গে হাততালি দিতে শুরু করেন অখিলেশের অনুগামীরা। অখিলেশ হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘আপনাদের চ্যানেলে কোনও মহিলা রিপোর্টার নেই? তাঁদের কাউকে পাঠান। তখন আপনাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy