সলমন খুরশিদ ও বৃন্দা কারাট— ফাইল চিত্র।
দিল্লি হিংসার চার্জশিটে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাটকে অভিযুক্ত করা হল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর কড়কড়ডুমা আদালতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এই মামলার সর্বশেষ চার্জশিটটি পেশ করে। তাতে খুরশিদ ও বৃন্দার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তৃতা্র অভিযোগ রয়েছে।
চার্জশিটে নাম থাকার খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশকে নিশানা করেন উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা খুরশিদ। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশ ডাকলে জানতে চাইব, আমার কোন বক্তৃতায় হিংসা ছড়ানোর উস্কানি ছিল!’’ তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ করেছে।
দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি মাসে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে একাধিক সভায় বৃন্দা এবং কংগ্রেস নেতা খুরশিদ উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। একই অভিযোগ তোলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম দিল্লির প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ উদিত রাজের বিরুদ্ধেও। উদিত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর ইশরাত জহান এবং আরেক ‘সংরক্ষিত’ সাক্ষীর বয়ান উদ্ধৃত করে চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘‘উমর খালিদ ও নাদিম খানের মতোই খুরশিদ, বৃন্দা এবং উদিত বিভিন্ন সময় খুরেজি-সহ বিভিন্ন এলাকায় সিএএ বিরোধী সভায় এমন মন্তব্য করেছেন, যা দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর ক্ষেত্রে অনুঘটক হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ করছে না রাফাল নির্মাতা, অভিযোগ সিএজি রিপোর্টে
সেই বয়ান আদালতের বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির (কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর)১৬৪ ধারা মেনে এক জন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নথিভুক্ত করিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ১৬১ ধারা অনুযায়ী সেই বয়ানের সত্যতা পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে। ইশরাত তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, তিনি এবং জামিয়া সমন্বয় কমিটির খালিদ সাইফি দীর্ঘদিন ধরে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চালানোর জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা রাহুল রায় এবং দলিত সংগঠন ‘ভীম আর্মি’র নেতা হিমাংশু ও চন্দন কুমারকেও বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ সভায় ডেকে এনেছিলেন।
আরও পড়ুন: দিল্লি সংঘর্ষ: চার্জশিটে নাম নেই কপিল মিশ্রদের
১৭ হাজার পাতার চার্জশিটে দিল্লি হিংসার মূল অভিযুক্ত হিসেবে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে সাসপেন্ডেড ‘আপ’ কাউন্সিলর তাহির হুসেনের নাম। হিংসার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ১৫ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) এবং অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। এ বার সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হল খুরশিদদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy