Advertisement
E-Paper

মাসে এক লাখ করে স্ত্রী-কন্যাকে পাঠাতেন সৌরভ, কী ভাবে সেই টাকা ওড়াতেন সাহিল? ক্রিকেট বেটিং, জুয়া, তালিকা দিল পুলিশ

মূলত ক্রিকেট নিয়ে জুয়া খেলতেন সাহিল। টাকা ঢুকলেই মুস্কান তা পাঠিয়ে দিতেন প্রেমিকের অ্যাকাউন্টে। মৃত্যুর আগেও স্ত্রীকে এক লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন সৌরভ।

Sahil Shukla allegedly used money of Saurabh Rajput for gambling

(বাঁ দিকে) মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত। মুস্কান রস্তোগী এবং সাহিল শুক্ল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ১০:০০
Share
Save

মাসে এক লক্ষ টাকা করে স্ত্রী মুস্কান রস্তোগীর অ্যাকাউন্টে পাঠাতেন মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত। সেই টাকা জুয়া খেলে উড়িয়ে দিতেন মুস্কানের প্রেমিক সাহিল শুক্ল। তদন্তের অগ্রগতিতে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। মেরঠের এসপি আয়ুষ বিক্রম সিংহ জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগেও সৌরভের অ্যাকাউন্ট থেকে এক লক্ষ টাকা মুস্কানের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। স্ত্রী এবং কন্যার খরচ চালাতে এই টাকা তিনি পাঠাতেন। কিন্তু তা অন্য ভাবে খরচ করা হত।

মূলত ক্রিকেট নিয়ে জুয়া খেলতেন সাহিল। টাকা ঢুকলেই মুস্কান তা পাঠিয়ে দিতেন প্রেমিকের অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচে বেটিং করার কাজে লাগাতেন সাহিল। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি আইপিএলের বেটিংয়ের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। চলতি আইপিএলেও বুকিদের মাধ্যমে তাঁর টাকা ঢালার পরিকল্পনা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ক্রিকেট ম্যাচ ছাড়াও অন্যত্র জুয়া খেলতেন সাহিল। যে পরিমাণ টাকা সেখান থেকে জিততেন, তা মুস্কানের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে খরচ করতেন। হৃষীকেশ থেকে শুরু করে দেহরাদূন, প্রায়ই মুস্কানকে নিয়ে ঘুরতে যেতেন সাহিল। বিলাসবহুল জীবন কাটাতে সৌরভের পাঠানো টাকা তিনি ব্যবহার করতেন। সৌরভ বিদেশে বসে সে কথা জানতেও পারতেন না।

পুলিশ জানিয়েছে, আইপিএলে বেটিংয়ের জন্য যে সমস্ত বুকির সঙ্গে সাহিল কারবার করতেন, তাঁদের খোঁজ চলছে। মুস্কান, সাহিলদের এক প্রতিবেশী পুলিশকে জানিয়েছেন, সাহিলের নিজস্ব রোজগার তেমন ছিল না। তিনি কোনও কাজ করতেন না। সৌরভের পাঠানো টাকা এবং জুয়ার উপরেই ভরসা করতেন।

সৌরভকে খুনের পরিকল্পনা মুস্কানেরা শুরু করেছিলেন গত বছরের নভেম্বরে। সম্প্রতি সৌরভ লন্ডন থেকে ফেরার পর তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন মুস্কান এবং সাহিল। দেহাংশগুলি ড্রামে ভরে তার মুখে সিমেন্ট ঢেলে দেন। পরে দু’জনে ঘুরতে চলে যান শিমলা। সেখান থেকে ফেরার পর তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত ১৪ দিনের হেফাজতে মেরঠ জেলা সংশোধনাগারে রয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মুস্কান এবং সাহিল মাদকে আসক্ত ছিলেন। জেলে মাদক না-পেয়ে ছটফট করছেন তাঁরা। বার বার মাদকের ইঞ্জেকশন চাইছেন। এই অস্থিরতা কাটতে অন্তত দু’সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের উপর কঠোর নজর রাখা হয়েছে। জেলে সাহিল এবং মুস্কানকে আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে। তাঁরা এক কক্ষে থাকতে চেয়েও বার বার আর্জি জানাচ্ছেন বলে জেল সূত্রে খবর।

Meerut Murder Case UP Crime

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}