Advertisement
E-Paper

কাজ নেই, খাবার নেই, পুলিশের নজরদারিতে ঘরবন্দি পরিবার, নিজেদের বাড়িও ছাড়তে হল সীমা-সচিনকে

সচিনের বাবা নেত্রপাল বলেন, “আমরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। কিন্তু যে দিন থেকে পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে ঘর ছেড়ে বেরোনো যাবে না, সে দিন থেকেই গোটা পরিবার ঘরবন্দি হয়েই কাটাচ্ছি।”

sachin-seema

সচিন এবং সীমা। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৩ ১৩:০১
Share
Save

পুলিশ এবং প্রশাসনের নির্দেশ ঘর ছেড়ে বেরোতে পারবেন না। ফলে মহা সমস্যায় পড়েছেন সচিন-সীমার পরিবার। বাড়ির বাইরে সব সময় সংবাদমাধ্যমের ভিড় লেগেই রয়েছে। এ সব কিছু এড়াতে নিজেদের বাড়িও ছাড়তে হয়েছে সচিনদের। গ্রেটার নয়ডার রবুপুরাতেই অন্য একটি বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন সচিন-সীমা। কার্যত ঘরবন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে গোটা পরিবারকে।

সচিনের বাবা নেত্রপাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। কিন্তু যে দিন থেকে পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে ঘর ছেড়ে বেরোনো যাবে না, সে দিন থেকেই গোটা পরিবার ঘরবন্দি হয়েই কাটাচ্ছি। বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছি না। বাইরে না বেরোতে পারলে কাজ জোগাড় করতে পারছি না। পরিস্থিতি খুব খারাপ। ঘরে খাবারও নেই।”

নেত্রপাল সংবাদমাধ্যমে আর্জি জানিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি এর সমাধান হয়, ততই ভাল। দ্রুত কোনও সমাধান বার করার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। সচিনের বাবার কথায়, “এমনিতেই ঘরবন্দি। বাড়িতে যেটুকু খাবার ছিল, তা-ও শেষ। এ বার না খেয়ে মরতে হবে। আমাদের এই পরিস্থিতি প্রশাসনের উচ্চস্তরের আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে দিলে ভাল হয়। যাতে এর কোনও আশু সমাধান বার হয়। আমাদের পরিবারও তা হলে বেঁচে যাবে।”

প্রসঙ্গত, সীমাকে নিয়ে তদন্তের কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না উত্তরপ্রদেশ এবং গোয়েন্দারা। সীমা পাকিস্তানি নাগরিক কি না, তা প্রমাণ করতে তাঁর এবং সন্তানদের পাসপোর্ট, ভিসা, পাকিস্তানি পরিচয়পত্র-সহ প্রয়োজনীয় নথি পাকিস্তান দূতাবাসে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও গাজ়িয়াবাদে ফরেন্সিক ল্যাবে সীমার মোবাইল পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পাকিস্তান দূতাবাস এবং গাজ়িয়াবাদের ফরেন্সিক ল্যাব থেকে সব রিপোর্ট এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, যত দিন না রিপোর্ট আসছে, তত দিন তদন্ত চলবে। তার পর চার্জশিট তৈরি করা হবে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সীমাকে ভারতে থাকতে দেওয়া হবে, না কি পাকিস্তানে পাঠানো হবে।

Seema Haider Pakistan

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}