ছবি: পিটিআই।
আয়াপ্পা দর্শনে মহিলাদের প্রবেশের পথ সুপ্রিম কোর্ট খুলে দেওয়ার পরে সঙ্গিনী কনক দুর্গাকে নিয়ে শবরীমালায় প্রথম ঢুকেছিলেন বিন্দু আম্মিনি। সেই রায় খতিয়ে দেখার জন্য সাত সদস্যের বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতেরই পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে যে মহিলা ভক্তেরা মন্দিরে ঢুকতে চান, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরই দ্বারস্থ হলেন বিন্দু।
শবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশের উপরে সরাসরি কোনও স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ দেয়নি। কিন্তু রায়ের ব্যাখ্যা চাইতে এখন কার কাছে যাওয়া যাবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তির প্রশ্ন তুলেছে কেরল রাজ্য সরকার। ‘ধোঁয়াশা’র কথা বলেই এখন আর তারা সুপ্রিম কোর্টের পুরনো রায় কার্যকর করতে সক্রিয় নয়। রাজ্যের দুই বিরোধী দল কংগ্রেস এবং বিজেপিও এক সুরে জানিয়েছে, পুরনো রায় মেনে শবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশ করানোর জন্য বাম সরকারের সক্রিয়তা দেখানো উচিত নয়। দ্বিতীয় বার মন্দিরে যাওয়ার চেষ্টা করায় ‘ভক্ত’রা বিন্দুর উপরে মরিচ গুঁড়োর স্প্রে নিয়ে চড়াও হয়েছে। তাই সর্বোচ্চ আদালতের কাছে বিন্দুর আবেদন, যত দিন না আগের রায় বাতিল হচ্ছে, তত দিন আগ্রহী মহিলা ভক্তদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে নেওয়ার নির্দেশ দিন বিচারপতিরা।
মামলা দায়ের হলেও এখনও তার শুনানির দিন ধার্য হয়নি। কোঝিকোড় জেলার বাসিন্দা বিন্দু বলছেন, ‘‘আমাদের মনে হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের রায় অনেকটাই রাজনৈতিক। আর রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের মতো করে ওই রায়কে ব্যবহার করতে চাইছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাই আবেদন করেছি, চূড়ান্ত ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত শবরীমালা মন্দিরে যাওয়ার পথে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ভার রাজ্য সরকারকে দেওয়া হোক।’’
আরও পড়ুন: ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘নির্বলা’ মন্তব্যে ক্ষমা চাইতে হবে অধীরকে, সংসদে শোরগোল বিজেপির
বস্তুত, আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ পেলে তারা মহিলা ভক্তদের নিরাপত্তার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে— এই মনোভাব এখন রাজ্য সরকারেরও। পিনারাই বিজয়নের সরকারের আইনমন্ত্রী এ কে বালনের মতে, ‘‘আইনি উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে আমরা বুঝেছি, আগের রায়ে স্থগিতাদেশ না থাকলেও ‘ডি ফ্যাক্টো’ নীতিতে তা এখন আর কার্যকর নয়। কারও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত নিজের নির্দেশ ব্যাখ্যা করে দিলে বা সরকারকে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ দিলে সেইমতো পদক্ষেপ করা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy