বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ সম্পর্কে অবহিত ছিল ভারত। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি নয়াদিল্লি! ‘দ্য হিন্দু’-র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার বিদেশ মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটির মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, জয়শঙ্কর পরামর্শদাতা কমিটির সদস্যদের জানান, হাসিনার কোনও সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা ভারতের ছিল না। তাঁকে কেবল ‘পরামর্শ দেওয়া’ যেতে পারত। বাংলাদেশ নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থানও কমিটির সদস্যদের কাছে ব্যাখ্যা করেন বিদেশমন্ত্রী। কংগ্রেসের কেসি বেণুগোপাল, মণীশ তিওয়ারি, উদ্ধবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগস্ট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন হাসিনা এবং সাময়িক আশ্রয় নেন এই দেশে। তার পর থেকে নয়াদিল্লি এবং ঢাকার সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ পথে এগোয়নি। গত বছরের শেষে ঢাকায় গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। তার পরেও অবশ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সব জট কেটেছে এমন নয়। বরং ব্যাঙ্ককে নরেন্দ্র মোদী এবং ইউনূসের মধ্যে একান্ত বৈঠক চেয়ে ঢাকা নয়াদিল্লির কাছে আর্জি জানালেও, এখনও এই বিষয়ে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানায়নি ভারত।