সিঙ্গাপুরের বিদেশ মন্ত্রী বিভিয়ান বালাকৃষ্ণনের সঙ্গে জয়শঙ্কর। ছবি পিটিআই।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের বর্তমান জমানার একেবারে অন্তিম পর্বে এসেও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্র রণনীতি নিয়ে সক্রিয়সাউথ ব্লক। সমুদ্রপথে চিনের বাণিজ্যিকও কৌশলগত একাধিপত্যের মোকাবিলায় বিভিন্ন সময়ে জোটবদ্ধ হয়েছে নয়াদিল্লি। এ বার সিঙ্গাপুরকেও সঙ্গে নেওয়ার চেষ্টায় সেখানে সফররত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আরও একটি উদ্দেশ্য রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই দূতের। তা হল, লোকসভা ভোটের আগে প্রবাসী ভারতীয়দের কাছে মোদী সরকারের শক্তিশালী ভাবমুর্তির বার্তা দেওয়া। সেই দেশে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে রবিবার রাতে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি সিঙ্গাপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাশ্মীর নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, বিশেষ মর্যাদা রদের পরে উপত্যকায় নতুন সূর্যোদয় হয়েছে। একই সঙ্গে বলেন, “এক দেশ হওয়া সত্ত্বেও একাধিক প্রগতিশীল পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে প্রয়োগ করার পথে প্রধান বাধা ছিল বহুদিনের এই আইন। যা মুছে যাওয়ায় সেখানকার মানুষ এখন উপকৃত হচ্ছেন। এই পরিবর্তন আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন।”
উপত্যকায় ৩৭০ ধারার কারণে দু’টি প্রধান সমস্যার কথা তুলে ধরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই আইনের ফলে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদ, হিংসা ও সন্ত্রাসবাদ। যা গোটা দেশের নিরাপত্তায় অন্যতম সমস্যার কারণও বটে। সব মিলিয়ে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ এক লহমায় সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। বিশ্বের কাছে এর ইতিবাচক প্রভাব ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে।
পাশাপাশি সমুদ্রনীতি নিয়ে সরব হয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা আজ যখন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর নিয়ে দেশে আলোচনা করি, সেই আলোচনা শুরুই হয় সিঙ্গাপুর থেকে। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের সংযোগ যতই গভীর হচ্ছে, ভারত যত বিশ্বমুখী হচ্ছে, সিঙ্গাপুরে ভারতীয় সম্প্রদায়ের ততই বৃদ্ধি ঘটছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়ছে।”
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিদেশমন্ত্রী যখন সিঙ্গাপুর সফর করছেন, তখন ভারত সফরে এসেছেন সেই দেশের প্রেসিডেন্ট থারমান সন্মুগারত্নম। গত কাল রাতে তিনি জোধপুরে এসে পৌঁছেছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই অর্থনীতিবিদ সিঙ্গাপুরের নবম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন।
শনিবার সিঙ্গাপুরের এক যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে সুভাষচন্দ্র বসু এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সিঙ্গাপুরে তার তিন দিনের সফর শুরু করেছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন “নেতাজি ও সাহসী আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সিঙ্গাপুর সফর শুরু করেছি। তাঁদের গভীর দেশপ্রেম ও অদম্য চেতনা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy