ছবি এএফপি।
দুর্গাপুজোর আগেই সম্ভবত এ দেশে শুরু হচ্ছে মানবদেহে রাশিয়ার করোনা-প্রতিষেধক ‘স্পুটনিক ভি’-র তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। রাশিয়ায় ওই টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের প্রয়োগ শেষ হয়েছে। তাতে সাফল্য মিলেছে বলেই দাবি ভ্লাদিমির পুতিন প্রশাসনের। ভারতে ওই টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা সফল হলেই এ দেশে ‘স্পুটনিক-ভি’ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
রুশ টিকার পাশাপাশি বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানো ‘কোভিশিল্ড’ টিকার দ্বিতীয়/তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে ভারতে। তার দায়িত্বে রয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। কেন্দ্র মনে করছে, এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতেই দেশবাসীকে কোনও সুখবর দেওয়া সম্ভব হবে।
ভারতে ‘স্পুটনিক-ভি’-র পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ও উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে এ দেশের রেড্ডি’জ় ল্যাবরেটরিজ়। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল বলেন, ‘‘ভারতে স্পুটনিকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরুর জন্য দেশীয় সংস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে ওই টিকার নির্মাতা সংস্থাকে। ওই সংস্থা জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই ভারতীয় সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে। আমরা আশা করব, দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানাবে তারা।’’
আরও পড়ুন: বিরোধীহীন লোকসভায় পাশ শ্রম বিল
‘স্পুটনিক-ভি’-র গবেষণায় অর্থ দিয়েছে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)। ওই সংস্থার সঙ্গে রেড্ডি’জ় ল্যাবের চুক্তি অনুযায়ী, এ দেশে স্পুটনিকের ৩০ কোটি ডোজ় তৈরি হবে। ১০ কোটি পাবে ভারত। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে হাজার থেকে দু’হাজার স্বেচ্ছাসেবক নেওয়া হবে। কিন্তু কত জনকে চূড়ান্ত ধাপে রাখা হবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে দেশের অন্তত আট থেকে দশটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ‘স্পুটনিক-ভি’-র পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে রেড্ডি’জ়।
প্রতিষেধকের বিষয়ে কোনও বিলম্বে রাজি নয় কেন্দ্র। তাই আজ রেড্ডি’জ় ল্যাবকে দ্রুত রুশ টিকার প্রয়োগ সংক্রান্ত আবেদনের কাজ শুরু করার পরামর্শ দেন ভি কে পল। এ দিকে, মার্কিন সংস্থা কোডাজেনিক্স আজ জানিয়েছে, তাদের সম্ভাব্য টিকা ‘সিডিএক্স-০০৫’-এর উৎপাদন শুরু করেছে সিরাম। চলতি বছরের শেষে ব্রিটেনে প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু করাই মার্কিন সংস্থাটির লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: অনড় সরকার পক্ষ, বয়কটে বিরোধীরা, সংসদের পরে আন্দোলন রাজ্যে
আজ আইসিএমআর-এর প্রধান বলরাম ভার্গব জানান, করোনার মতো যে সব ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষেধকের কার্যকারিতা পঞ্চাশ শতাংশের বেশি হলেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘এমন ভাইরাসের প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে একশো শতাংশ কার্যকারিতার লক্ষ্যমাত্রা নিলে প্রতিষেধকের কার্যকারিতা পঞ্চাশ থেকে একশোর মধ্যে থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy