Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
RSS

তৃতীয় ঢেউয়ে ঝাঁপাতে চায় সঙ্ঘ পরিবার

এই বছরের শেষে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা।

—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২১ ০৬:৩৯
Share: Save:

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত নড়বড়ে হয়ে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভাবমূর্তি। চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এ দিকে, আগামী বছরে আরও পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে কেন্দ্রের শাসক শিবিরের ভাবমূর্তি ফেরানো তথা করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে আমজনতার পাশে দাঁড়ানো যেতে পারে, সেই রণকৌশল ঠিক করতে জুনের প্রথম সপ্তাহেই বৈঠকে বসতে চলেছে সঙ্ঘ পরিবার। বৈঠকে ভোট-পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

এই বছরের শেষে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। তাই ওই সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দেওয়ার পক্ষপাতী সঙ্ঘ পরিবার। সূত্রের মতে, সেই কারণেই চলতি মাসে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অব্যবস্থা ও বিপুল সংখ্যক দেশবাসীর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত এর জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারকেই দায়ী করেছিলেন। ওই সময়ে সঙ্ঘ-কর্মীদের একটি বড় অংশের নিষ্ক্রিয় থাকা নিয়েও ক্ষুব্ধ সঙ্ঘের কর্তারা। তাই সঙ্ঘ ও বিজেপির কর্মীরা যাতে করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকেন, তা নিয়েই এ বারের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

বছর ঘুরলেই বিজেপি-শাসিত গুজরাত, গোয়া, মণিপুর ও উত্তরপ্রদেশ এবং কংগ্রেস-শাসিত পঞ্জাবে নির্বাচন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে বহু মানুষ প্রকাশ্যে মোদী সরকারের বিরোধিতায় সরব হতে শুরু করেছেন। অর্থনীতির অবস্থা তথৈবচ। অনেক মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। সঙ্ঘের নেতাদের মতে, তৃতীয় ঢেউয়ের পরে আমজনতার কেন্দ্র-বিরোধিতা চরমে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। তার ফলে বিজেপির পক্ষে ভোটমুখী চার রাজ্যে সরকার ধরে রাখা কঠিন হতে পারে। তাই অতিমারির মতো সঙ্কটকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কী ভাবে তাঁদের আস্থা অর্জন করা যায়, তারই রণকৌশল তৈরিতে বৈঠকে বসছেন সঙ্ঘ নেতারা। তাঁদের তরফে অবশ্য এটিকে ‘রুটিন বৈঠক’ বলা হয়েছে। সঙ্ঘ-বিজেপির বক্তব্য, এমন বৈঠক প্রতি মাসেই হয়ে থাকে।

বৈঠকে ভোটমুখী রাজ্যগুলি ছাড়াও ভোট-পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বঙ্গে ভোটের পর থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগে সরব রয়েছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা প্রশাসন ও পুলিশের মদতে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। ফলে নিচু তলার কর্মীদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে। অনেকে বসে গিয়েছেন। অনেক বিজেপি সমর্থক মুচলেকা দিয়ে তৃণমূলে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। তাই পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার নিন্দার পাশাপাশি ও আতঙ্কিত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যাতে হস্তক্ষেপ করে, তা নিয়েও বৈঠকে বিশেষ প্রস্তাব গ্রহণের কর্মসূচি রয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Narendra Modi RSS
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy