— প্রতীকী চিত্র।
সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস নতুন শ্রম বিধির বিরোধিতা করল। সূত্রের খবর, আজ শ্রম মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে হাজির হয়ে বিএমএস নেতৃত্ব শ্রম বিধির বিরোধিতা করেছে। বিএমএস-এর বক্তব্য, আগে কোনও সংস্থায় শ্রমিক সংখ্যা ১০০ পর্যন্ত হলে কারখানা বন্ধ করতে হলে সরকারের সায় লাগত না। নতুন বিধিতে যে সব সংস্থায় ৩০০ জন পর্যন্ত শ্রমিক রয়েছে, তা বন্ধ করতেও সরকারের সায় লাগবে না। ফলে মালিকরা ইচ্ছে মতো ছাঁটাই করতে পারবেন। বিএমএস নেতা পবন কুমার আজ স্থায়ী কমিটির সামনে জানিয়েছেন, শ্রম বিধিতে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। শ্রমিকের ধর্মঘট করার অধিকার দিতে হবে। যে কোনও ক্ষেত্রকে জরুরি পরিষেবা বলে দাগিয়ে দিয়ে ধর্মঘটে বাধা দেওয়া চলবে না।
মোদী সরকার মজুরি, শিল্প সম্পর্ক, সামাজিক সুরক্ষা ও কর্মীদের সুরক্ষা-স্বাস্থ্য-কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত চারটি শ্রম বিধি সংসদে পাশ করানোর পরে চার-পাঁচ বছর কেটে গেলেও এখনও তা কার্যকর করতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্য শ্রম বিধি চালু করবে না বলে জানিয়েছে। শ্রম মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি শ্রম বিধি কার্যকর করা নিয়ে আজ বৈঠক ডেকেছিল। সূত্রের খবর, স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বাসবরাজ বোম্মাইকে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রম বিধির বিরোধিতা করছেন। তিরুপতিতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীদের সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক সে কথা জানিয়ে এসেছেন। রাজ্যকে বাদ দিয়ে শ্রম বিধি কার্যকর করা সম্ভব নয়। কারণ, শ্রম সংবিধানে কেন্দ্র, রাজ্য যৌথ তালিকার বিষয়। ২০১৫-এর পরে ভারতে শ্রম সম্মেলন ডাকা হয়নি। বোম্মাইকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছেন ঋতব্রত। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি আগেই এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। আজ এআইসিসিটিউ সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের হয়ে শ্রম বিধির বিরোধিতা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy