ফাইল চিত্র
বিজয় রূপাণীর পদত্যাগের পর রবিবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ভূপেন্দ্র পটেল। শনিবার রূপাণীর পদত্যাগের ঘটনা অনেকের কাছে আকস্মিক মনে হলেও এই বিষয়ে বিজেপি-র অন্দরে অনেকদিন থেকেই আলোচনা চলছিল, সূত্রের খবর তেমনই। গুজরাত বিজেপি সূত্রে খবর, সেই রাজ্যে আরএসএস অনেকদিন ধরেই একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেখানেই উঠে আসে রূপাণীর জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলার কথা। আরএসএস তাদের রিপোর্টে বলেছিল, মুখ্যমন্ত্রী পদে রূপাণী থাকলে নির্বাচনে বিপদ হতে পারে বিজেপি-র। সেই রিপোর্টই পৌঁছে যায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। অমিত শাহ এসে পরবর্তীতে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানান। সরে যেতে হয় রূপাণীকে।
শুধু তাই নয়, গুজরাতের মন্ত্রিসভাতেও বদল আসতে চলেছে আরএসএস-এর পরামর্শ অনুসারে। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী কয়েকদিনের মধ্যেই বাদ পড়তে পারেন মন্ত্রিসভা থেকে। নতুন কয়েকজন বিধায়কের স্থান হতে পারে মন্ত্রিসভায়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। হাতে মাত্র ১৫ মাস। সেই কারণেই সরকারের মুখ পাল্টে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চাইছে বিজেপি, এমনই মনে করছেন অনেকে।
শেষ ২৭ বছর গুজরাত শাসন করছে বিজেপি। স্বাভাবিক কারণেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া বইছে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। কোভিড পরিস্থিতি সামলানোর বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রচার করছে আপ। সেই প্রচারের প্রভাবও পড়তে পারে। সেই কারণেই কয়েকদিন আগে পরিস্থিতি বিচার করতে গুজরাতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রূপাণীর সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই আলোচনাতেই রূপাণীর পদত্যাগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যায়। পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় বদলের কথাও ঠিক হয় ওই আলোচনায়। আরএসএস রিপোর্ট ও শাহের সিলমোহরেই শেষ পর্যন্ত বদলাতে শুরু করে গুজরাতের শাসকের চেহারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy