লক্ষ্য এ বার আইআইটি, আইআইএম, এমস, প্রথম সারির গবেষণা সংস্থা। শতবর্ষে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ওরফে আরএসএস দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিকড় ছড়াতে চাইছে।
ঠিক এক মাস আগে আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত গুয়াহাটিতে আইআইটি-র ক্যাম্পাসে আরএসএসের মহিলা সংগঠন রাষ্ট্রীয় সেবিকা সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। আরএসএস সূত্র সে সময়ে জানিয়েছিল, এই প্রথম কোনও সরসঙ্ঘচালক আইআইটি-র ক্যাম্পাসে বৈঠক করলেন।
আজ বেঙ্গালুরুতে আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার সাংবাদিক সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার বলেন, আরএসএসের লক্ষ্য এখন দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গোটা দেশে এই রকম ২০০৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত দশ বছরের চেষ্টায় আরএসএস ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কাজ শুরু করেছে। আরএসএসের লক্ষ্য এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে শিকড় ছড়িয়ে দেওয়া।
২০২৫-এর বিজয়া দশমীতে আরএসএস শতবর্ষ পূর্ণ করবে। শতবর্ষে দাঁড়িয়ে আরএসএসের সংগঠন কতটা ছড়িয়েছে এবং তার মতাদর্শগত শিকড় কতটা গভীরে পৌঁছেছে, তা নিয়ে প্রতিনিধি সভায় পর্যালোচনা চলছে। সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠনগুলি নিজেদের রিপোর্ট দিয়েছে। অরুণ কুমার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁরা এখন দেশের বিশিষ্টজনদের কাছে পৌঁছতে চাইছেন। প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরুর লক্ষ্য তারই অঙ্গ। আরএসএসের লক্ষ্য হল ‘সর্বস্পর্শী সর্বব্যাপী’ সংগঠন।
আরএসএস সমাজে প্রভাবশালী ২ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অরুণ বলেন, সমাজে প্রভাবশালী, চিন্তাবিদ, এমন দেড় লক্ষ মানুষের কাছে আরএসএস পৌঁছে গিয়েছে। তিন-চারবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, আরএসএসের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। ওঁরা আরএসএস সম্পর্কে কী ভাবেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আরএসএস তাঁদের সামনে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে।
রবিবার বৈঠকের শেষ দিনে আরএসএস তার শতবর্ষে কী লক্ষ্য রাখছে, তা ঘোষণা হবে। অরুণ বলেন, ‘‘আমরা চাই, ১০০ শতাংশ মানুষ আরএসএসের ভাবনা অনুযায়ী দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে কাজ করুন। আগামিকাল সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসবলে এ বিষয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)