হরিদ্বারে ঘৃণা-ভাষণে অভিযুক্তেরা। ফাইল চিত্র।
ঘৃণা-ভাষণে অভিযুক্ত সকলের শাস্তির দাবিতে সরব হলেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। সাম্প্রতিক হরিদ্বার এবং রায়পুরে ধর্মসংসদে প্ররোচণামূলক বক্তৃতায় দায়ে অভিযুক্ত ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্রনারায়ণ ত্যাগী এবং কালীচরণ মহারাজের পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকেও।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইন্দ্রেশ বলেন, ‘‘যে কোনও ধরনের ঘৃণা-ভাষণই নিন্দনীয় এবং আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ক্ষেত্রে কোনও ঘটনাকেই ‘ব্যতিক্রম’ বলে ধরে নেওয়া যায় না।’’ এর পরেই রাহুলকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উনি (রাহুল) বলেন, হিন্দুত্ববাদীরা মহাত্মা গাঁধীকে খুন করেছে। এটাও কিন্তু ঘৃণা-ভাষণ।’’
গত ডিসেম্বরে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ধর্মসংসদে ধর্মান্তরিত সন্ত ওয়াসিম ওরফে জিতেন্দ্রনারায়ণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই সভায় হিন্দু রক্ষা সেনার সদস্য প্রবোধানন্দ গিরি, ধর্মীয় নেতা ইয়াতি নরসিংহানন্দ, পূজা শাকুন পাণ্ডে ওরফে সাধ্বী অন্নপূর্ণা, শঙ্করাচার্য পরিষদ নামে একটি সংগঠনের প্রধান আনন্দ স্বরূপের মুখেও বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গিয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই মাসেই ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে আয়োজিত ধর্মসংসদে সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সন্ত কালীচরণ মহাত্মা গাঁধীর বিরুদ্ধে কটূক্তি করার পাশাপাশি গাঁধী-হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশস্তি করেন বলে অভিযোগ।
ওই ঘটনাগুলি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ইন্দ্রেশের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিদ্বেষ এবং ঘৃণা ছড়ানোর এমন অনেক উদাহরণই রয়েছে। সেগুলি অবশ্যই নিন্দনীয়।’’ রাহুল-সহ আরএসএস-বিরোধী অনেক নেতাই বিভিন্ন সময়ে গাঁধী-হত্যার জন্য হিন্দুত্ববাদীদের নিশানা করেছে বলে ইন্দ্রেশের অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘গত ৬০ বছর ধরে শুনে আসছি আমরাই নাকি গাঁধীজিকে খুন করেছি। যদিও কেউই কখনও কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy