প্রতীকী ছবি
কোথাও মাইক্রোফিনান্স সংস্থার নামে, কোথাও বা বেসরকারি ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্টের অফিস হিসেবে ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছিল এবং সেখানেই খোলা হয়েছিল অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। সিম-বক্স কাণ্ডের তদন্তে নেমে এমনই দাবি করছেন রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) তদন্তকারীরা। ওই সূত্রের দাবি, মাসিক পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকার বিনিময়ে রাজ্যের মোট ন’টি জায়গায় ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে জলপাইগুড়িতে একটি, শিলিগুড়িতে ৪টি, আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁওয়ে একটি, নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় দুটি এবং কলকাতায় একটি এমন কেন্দ্রের সন্ধান মিলেছে।
তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, ধৃত ইরশাদ আলিকে জেরা করে শুক্রবার রাতে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থেকে দুটি সিম বক্স এবং চারটি রাউটার সহ একাধিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। সব মিলিয়ে নটি জায়গা থেকে শনিবার পর্যন্ত এসটিএফ ২৯টি সিম-বক্স উদ্ধার করেছে।
বুধবার রাতে অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চালানোর অভিযোগে এসটিএফ বাংলাদেশের বাসিন্দা আবু সুফিয়ান মামুনের সঙ্গে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা রণজিৎ নাহা ও নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা ইরশাদ আলি মল্লিককে গ্রেফতার করে। ধৃতেরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
তদন্তকারীরা জানান, মামুন এই চক্রের মূল এজেন্ট। তাঁর অধীনে রণজিৎ এবং ইরশাদ সাব-এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। সাব-এজেন্ট হলে সিম-বক্স পিছু ৫০ হাজার টাকা করে মিলত। বাকি টাকা মামুনের কাছে যেত।
এই চক্রের শিকড় বাংলাদেশে বিস্তৃত এবং সেখানে বসেই চক্রের চাঁইরা মামুনদের মাধ্যমে এই ব্যবসা চালাচ্ছিল বলে খবর। এখনও পর্যন্ত এমন সাত জনের নাম পেয়েছে এসটিএফ। এই চক্রের হদিস পেতে ওই সাত জনকে গ্রেফতার করা জরুরি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কারণ, দেশের অন্যত্রও এমন বেআইনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
এসটিএফ জানিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে মামুনের সঙ্গে বাকি দুই ধৃতের আলাপ হয়। সে সময়ে আর এক বাংলাদেশি নাগরিকও সেখানে ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশেই রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy