দিল্লির বৈঠকেই মোটের উপর ঐকমত্য হয়েছিল। শুক্রবার পটনায় আনুষ্ঠানিক ভাবে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে সামনে রেখে বিধানসভা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিল বিহারের ‘ইন্ডিয়া’র সহযোগী দলগুলি।
বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা এবং ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’র নাম ঘোষণা নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে গত মঙ্গলবার দিল্লি গিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে বৈঠক করেন তেজস্বী। এর পর পটনায় বিহারের বিজেপি বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’-এর সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। আরজেডি, কংগ্রেস, তিন বাম দলের পাশাপাশি ওই বৈঠকে ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’ (ভিআইপি)-র নেতা মুকেশ সহানি। সেখানে বিধানসভা ভোটের ‘ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি’ স্থির করার লক্ষ্যে তেজস্বীর নেতৃত্বে সব সহযোগী দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে পরবর্তী ধাপে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হলে আবার বিরোধী জোটে ‘জট পাকাতে’ পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। সূত্রের খবর এ বার কংগ্রেসকে ৫০টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নন তেজস্বী। আরজেডির যুক্তি, ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৭০টিতে লড়ে মাত্র ১৯টি জিতেছিল মহাগঠবন্ধনের ‘মেজো শরিক’ কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই খারাপ ‘স্ট্রাইক রেটে’র কারণেই এনডিএ-র জয় সহজ হয়েছিল বলে বিরোধী শিবিরের একাংশের অভিযোগ।
অন্য দিকে, কংগ্রেসের তরফে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিজেপির দখলে রয়েছে, এমন ৩০টির বেশি শহরাঞ্চলীয় আসন তাদের হাতছাড়া হয়েছিল। ওই বিধানসভা ভোটে আরজেডি ১৪৪টিতে লড়ে ৭৫টি এবং তিন বাম দল ২৯টিতে লড়ে ১৬টি জিতেছিল। তার মধ্যে ১৯টি আসনে লড়ে ১২টিতে জয় পায় সিপিআইএমএল (লিবারেশন)। এ বার ইতিমধ্যেই ৩০টি আসনের দাবি তুলেছে তারা। সিপিআই ছ’টি আসনে লড়ে দু’টিতে এবং সিপিএম চারটি আসনে লড়ে দু’টিতে জিতেছিল। অন্য দিকে, আরজেডি ১৪৪টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৭৫টিতে জয় পায়। গত বারের ভোটে এনডিএর সহযোগী হিসেবে ভিআইপি ১১টি আসনে লড়ে ৪টিতে জয়ী হয়েছিল। এ বার তারা লালু-তেজস্বীর সঙ্গী।