বন্যাবিধ্বস্ত রাজস্থানের কোটা। ছবি: পিটিআই।
রাজস্থান, গুজরাতের পশ্চিমাংশ মরু এলাকা বলেই চিহ্নিত। অথচ সেখানেই দু’হাত উপুড় করে দিয়েছে বর্ষা। মৌসম ভবনের তথ্য বলছে, এ বার বর্ষাকালে পশ্চিম রাজস্থানে স্বাভাবিকের থেকে ৭১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গুজরাতের সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছে স্বাভাবিকের থেকে ৭৫ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে। অতিবর্ষণে রাজস্থানে বন্যাও হয়েছে। এ দিকে, গাঙ্গেয় অববাহিকার রাজ্যগুলিতে সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি। প্রসঙ্গত, এ বার মরসুমের প্রথম দু’মাসে গাঙ্গেয় বঙ্গে সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি। শেষ দু’মাসে জোরালো বৃষ্টিতে অবশ্য় ঘাটতি মিটেছে। তবে বিহার, উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশ, অসম, মেঘালয়ে ঘাটতি রয়ে গিয়েছে।
এই পরিসংখ্যান দেখে অনেকেই বলছেন, মরু অববাহিকায় অতিবৃষ্টি হচ্ছে অথচ গাঙ্গেয় অববাহিকায় তেমন বৃষ্টি হচ্ছে না, এই ঘটনা কি জলবায়ু বদলের ফল? মরু এলাকায় বৃষ্টিপাত যে ক্রমাগত বেড়েছে সে কথা মেনে নিয়েছেন আবহবিজ্ঞানীদের অনেকেই। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল কে জে রমেশ সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে ২০০০ সাল থেকেই মরু এলাকায় ক্রমাগত বৃষ্টিপাত বাড়তে দেখা গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, মরু অঞ্চলে এই বৃষ্টির বাড়বাড়ন্ত কেন?
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলছেন, ‘‘বৃষ্টিপাতের এই বদল এবং তার কারণ সন্ধান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা চলছে। তবে ২০২২ সালে তিন ভারতীয় যে তথ্য সামনে এনেছেন তা অনেকাংশেই গ্রহণযোগ্য।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে বর্ষার ক্ষেত্রে নিম্নচাপ, মৌসুমি অক্ষরেখা, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বায়ুপ্রবাহের গতিপ্রকৃতি ইত্যাদি নানা অনুসঙ্গ থাকে। এই অনুসঙ্গগুলির উপরে তিব্বতের ওই উচ্চচাপ (যাকে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত-ও বলা হয়) প্রভাব থাকে। তাই সেই উচ্চচাপে কোনও বদল এলে বর্ষার চরিত্রেও বদল ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে ওই বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে গুজরাত এবং রাজস্থানে বর্ষার চরিত্রে সেই প্রভাব পড়ছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলছেন, ‘‘বৃষ্টিপাতের এই বদল এবং তার কারণ সন্ধান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা চলছে। তবে ২০২২ সালে তিন ভারতীয় যে তথ্য সামনে এনেছেন তা অনেকাংশেই গ্রহণযোগ্য।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে বর্ষার ক্ষেত্রে নিম্নচাপ, মৌসুমি অক্ষরেখা, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বায়ুপ্রবাহের গতিপ্রকৃতি ইত্যাদি নানা অনুসঙ্গ থাকে। এই অনুসঙ্গগুলির উপরে তিব্বতের ওই উচ্চচাপ (যাকে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত-ও বলা হয়) প্রভাব থাকে। তাই সেই উচ্চচাপে কোনও বদল এলে বর্ষার চরিত্রেও বদল ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে ওই বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে গুজরাত এবং রাজস্থানে বর্ষার চরিত্রে সেই প্রভাব পড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy