মিল রয়েছে একটা জায়গায়— তাঁরা দু’জনেই বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বাকিটা শুধুই অমিল। রাজ্যের নামে, পেশাগত পরিচয়ে এবং সর্বোপরি সম্পত্তির খতিয়ানে।
প্রথম জন মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইয়ের ঘাটকোপার-পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক পরাগ শাহ। দ্বিতীয় জন পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ইন্দাসের বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া। ৩৪০০ কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক পরাগ এই মুহূর্তে দেশের ধনীতম বিধায়ক। সাকুল্যে ১৭০০ টাকা হাতে থাকা নির্মল দরিদ্রতম! ২০২৩ সালে ৫০০ কোটির মালিক ছিলেন ‘ম্যান ইনফ্রাকনস্ট্রাকশন লিমিটেড’ নামে পরিকাঠামো নির্মাণ কোম্পানির প্রধান পরাগ। দু’বছরে প্রায় সাত গুণ বেড়েছে তাঁর সম্পত্তি!
দেশের ২৮টি রাজ্য এবং তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪০৯২ জন বিধায়কের সম্পত্তির খতিয়ান দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভোট পর্যবেক্ষক সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)’। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি সেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। ওই রিপোর্ট বলছে, জনতার ভোটে জয়ী হয়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভার সদস্য হয়েছেন যাঁরা সেই বিধায়কদের মধ্যে কারও কারও সম্পত্তি কোটি কোটি টাকা। কারও আবার সম্পত্তির পরিমাণ যৎসামান্য।
আরও পড়ুন:
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস বিধায়ক ডিকে শিবকুমার। তাঁর মোট ১৪১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এ ছাড়া তালিকায় রয়েছেন, কর্নাটকের নির্দল বিধায়ক পুত্তুস্বামী গৌড়া (১২৬৭ কোটি), সে রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়কৃষ্ণ (১১৫৬ কোটি), অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টির বিধায়ক এন চন্দ্রবাবু নায়ডু (৯৩১ কোটি) তাঁর দলের দুই বিধায়ক পি নারায়ণ (৮২৪ কোটি) এবং ভি পার্থসারথি রেড্ডি (৭১৬ কোটি) এবং অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান জগন্মোহন রেড্ডি (৭৫৭ কোটি)।