ছবি: সংগৃহীত।
গেমিং জ়োনে আগুন লেগে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে গুজরাতে। শনিবার সন্ধ্যায় গুজরাতের রাজকোটে এই ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় যখন গেমিং জ়োনের ভিতরে অনেকেই খেলতে ব্যস্ত, তখন আচমকাই আগুন লাগে সেখানে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায় রাজকোটের টিআরপি গেমিং জ়োনকে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়।
গুজরাতের ঘটনায় শনিবার রাতেই শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, “গুজরাতের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি বিস্মিত এবং মর্মাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।”
ঘটনাস্থলের ভিডিয়োয় দেখা যায়, এলাকায় পৌঁছেছে পুলিশ এবং দমকলবাহিনী। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তারা জানিয়েছে, গেমিং জ়োনের ভিতরে অনেকেই আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে তারা। আটকে থাকতে পারে গেমিং জোনে খেলতে আসা বহু অল্প বয়সি এবং শিশুও।
সাধারণত এই ধরনের গেমিং জ়োন ঘেরা জায়গায় তৈরি করা হয়। কার রেসিং থেকে শুরু করে নানা ধরনের ইনডোর এবং আউটডোর গেমের ব্যবস্থাও থাকে সেখানে। মজুত থাকে টায়ার, প্লাস্টিকের মতো অতিদাহ্য পদার্থ। তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি।
শনিবার আগুন লাগার সময় গেমিং জ়োনের ভিতরে অনেকেই ছিলেন বলে পুলিশের অনুমান। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় তাঁরা অনেকেই বাইরে আসতে পারেননি। আপাতত উদ্ধারকাজ চলছে। অনেককেই গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে খবর।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ প্যাটেল জানিয়েছেন, তিনি পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। পুলিশ এবং দমকলবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে। অন্য দিকে, রাজ কোটের পুলিশ কমিশনার রাজু ভার্গভ জানিয়েছেন, ‘‘রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। ভিতরে কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা আগুন নেভানোর পরেই জানা যাবে। দমকলবাহিনী একইসঙ্গে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy