বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। — ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া ভারতবিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলির নেতাদের নিঃশব্দে ‘সাবাড় করছে’ নয়াদিল্লি! ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সরাসরি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির ওই দাবি খারিজ করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুক্রবার বলেন, ‘‘এমন অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা এবং বিদ্বেষমূলক।’’
গত পাঁচ বছরে হাফ ডজনেরও বেশি ভারতবিরোধী জঙ্গি নেতার মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানে। এঁদের কেউ খুন হয়েছেন। কারও বা ‘রহস্যমৃত্যু’। আর প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং)-এর দিকে। সাম্প্রতিক সময়ে পাক মাটিতে মৃত্যু হওয়া জঙ্গিনেতাদের তালিকায় রয়েছেন, লস্কর-ই-তইবার নেতা আক্রম খান, আক্রম গাজ়ি, আনদান আহমেদ, মৌলানা জিয়াউর রহমান এবং মুফতি কায়সর ফারুক।
২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী লস্কর নেতা আজ়ম চিমা, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের লস্কর কমান্ডার রিয়াজ় আহমেদ ওরফে আবু কাসিম, পঠানকোট হামলার মূল চক্রী, জইশ-ই-মহম্মদ নেতা শাহিদ লতিফ, ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল (ইউজেসি) এবং তেহরিক-উল-মুজাহিদিন (টিইউএম) জঙ্গিগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শেখ জামিল-উর-রহমান, হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার বশির পীর, খলিস্তান লিবারেশন ফোর্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লখবীর সিংহ রোড়ে, খলিস্তান কমান্ডো ফোর্সের প্রধান পরমজিৎ সিংহ পঞ্জওয়ারও রয়েছেন এই তালিকায়।
গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা ‘মোসাদ’-এর অনুকরণে বিদেশের মাটিতে আশ্রয় নেওয়া ভারতবিরোধী জঙ্গি নেতাদের হত্যা করার ছক কষা হয়েছিল। এ পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি জঙ্গি নয়াদিল্লির ‘নিশানা’ হয়েছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে দাবি। যদিও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সেই অভিযোগ খারিজ করে বলা হয়েছে, ‘‘অন্য দেশের মাটিতে খুনের অভিযান চালানো ভারতের নীতি নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy