কেরল পুলিশ। ফাইল চিত্র।
৭০০ টাকায় কনস্টেবল, এএসআই ১৮৭০ টাকায়। আবার যদি ৩৩ হাজার টাকা খরচ করা যায়, তা হলে মিলতে পারে গোটা থানা। না, এটা কোনও মেলার কথা বলা হচ্ছে না। অবিশ্বাস্য লাগলেও, এই দর স্থির করা হয় পুলিশকর্মীদের জন্য। আর সেটা হয় কেরলে।
কেরল পুলিশ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এটা কোনও নতুন বিষয় নয়। কোনও ছবির শ্যুটিং হোক, বিয়ের অনুষ্ঠান, এমনকি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ভাড়া নেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে কেরলে। পদমর্যাদা অনুযায়ী তার দরও ঠিক করা আছে।
কনস্টেবলপিছু দিনপ্রতি ভাড়া ৭০০ টাকা। যদি রাতেও থাকতে হয়, তা হলে তার জন্য এক এক জন কনস্টেবলের ভাড়া ১,০৪০ টাকা। এএসআইয়ের দিনের ভাড়া ১,৮৭০ টাকা। রাত হলেই সেই দর বেড়ে হয় ২,২১০ টাকা।
এ তো গেল কনস্টেবল এবং এএসআইয়ের দর। আর একটু উঁচু পদের পুলিশ আধিকারিক হলে দামও আরও বাড়বে। ইনস্পেক্টরের জন্য দিনের দর স্থির করা হয়েছে ২,৫৬০ টাকা। রাতপিছু সেই ভাড়া ৪,৩৬০ টাকা। সার্কল অফিসারের দিনের ভাড়া ৩,৭৯৫ টাকা এবং রাতের ভাড়া ৪,৭৫০ টাকা।
চমকের আরও বাকি আছে। কোনও অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য গোটা থানাকে ভাড়া নিতে চান কেউ, তারও ব্যবস্থা আছে। তবে তার জন্য খরচ করতে হবে ৩৩ হাজার টাকা। স্নিফার ডগ ভাড়া নিতে চাইলে তার জন্য দিতে হবে ৬,৯৫০ টাকা। কেউ যদি ওয়্যারলেস সেট ভাড়া নিতে চান, তা-ও মিলবে মাত্র ২,৩১৫ টাকায়। কারও যদি ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয়, তা হলে খরচ করতে হবে ৬,০৭০টাকা।
পুলিশ ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে পুলিশের অন্দরেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক পিপি সদানন্দন জানিয়েছেন, এই বিষয়টি আরও বেশি করে প্রচলিত হয় কন্নুরের কেকে আনসার নামে এক ব্যক্তি তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য ২৮০০ টাকা দিয়ে চার জন কনস্টেবল ভাড়া নেওয়ার পর। আনসার সেই সময় পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, মেয়ের বিয়েতে ভিআইপি অতিথি আসবেন। তাই তাঁদের সুরক্ষার জন্য পুলিশ প্রয়োজন। কিন্তু ভিআইপির নামে পুলিশ ভাড়া নিলেও তাঁরা আসেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy