ছবি: সংগৃহীত।
ছ’মাসও হয়নি লাশের পরে লাশ ভেসেছে উত্তরপ্রদেশের গঙ্গায়। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে উজাড় হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো বিষয়গুলি ক্রমশ পিছনে চলে যাচ্ছে বলে দাবি করছে বিরোধী দলগুলি। মূল প্রতিপাদ্য হয়ে উঠছে ধর্মীয় মেরুকরণ। আর সে ক্ষেত্রে বিজেপির পাশাপাশি আঙুল উঠছে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল এসপি-র দিকেও।
শুক্রবার সরব হতে দেখা গিয়েছে বিএসপি-র মুখপাত্র সুধীন্দ্র ভাদোরিয়াকে। তাঁর কথায়, “বিজেপি এবং এসপি রাজ্যের জন্য কী কাজ করেছে? দুটি দলই তো উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নতির জন্য কিছু করেনি। বিজেপি রামের নামে ভোট চাইছে, এসপি চাইছে জিন্নার নামে। কিন্তু জনতা ভোট দেবে কাজ দেখে, ধর্ম দেখে নয়।”
বিএসপি-র এই বিদ্রুপে কান দিচ্ছে না অখিলেশ যাদবের দল। তাদের বক্তব্য, ২০১৯ সাল থেকে যে দল সিবিআই-এর ভয়ে বিজেপি-র ধামা ধরে রয়েছে, তাদের উন্নয়ন বা ধর্মীয় বিভাজন নিয়ে কথা বলা মানায় না। বিরোধী ভোট ভাঙিয়ে যোগী সরকারকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য।
এসপি-র ঘোষিত শরিক দল আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধরি বলেন, “যত বারই নির্বাচন আসে পাকিস্তান এবং তালিবান বিজেপি-র প্রিয় বিষয় হয়ে ওঠে। আসল বিষয় হল কৃষকদের দুর্দশা, বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি। ঠিক করেছি ওদের ফাঁদে পা দিয়ে কিছু বলব না।”
বিজেপির দিকে তোপ দেগে জয়ন্ত বলেন, “বিজেপি যে দিন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, যে কোনও রাজনৈতিক দলকে দেশদ্রোহী ছাপ্পা লাগিয়ে দেওয়াটা দস্তুর হয়ে গিয়েছে। কেউই ভারতকে ভাঙতে চাই না। দেশের কোনও দল, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শামিল, তারা এ সব ভাবতেও পারে না।”
তবে এসপি কিন্তু বিজেপির মেরুকরণের দাওয়াই ঠেকাতে নিজেরাই ধর্মীয় সুড়সুড়িকে প্রচারের অস্ত্র করছে। অখিলেশ সিংহ যাদব জিন্নার প্রশস্তি করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে গাঁধীজি, জওহরলাল নেহরুর একাসনে জিন্নার অবদান সংক্রান্ত এসপি-নেতার ওই মন্তব্যকে আড়াল করতে চেয়ে অবশ্য জয়ন্ত জানাচ্ছেন, অখিলেশ যা বলেছেন তাকে ভুল পরিপ্রেক্ষিতে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy