সুপ্রিম কোর্টে আবেদন কেন্দ্রের। —ফাইল চিত্র।
দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সন্ত রবিদাস মন্দিরের পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা ধ্বংসস্তুপের উপরই সন্ত রবিদাস মন্দিরের পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন জমা দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল। তাঁর দাবি, শান্তি ও সমন্বয়ের পরিবেশ টিকিয়ে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির ডিভিশন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত রায় শোনাবে।
কবি এবং গীতিকার হিসাবে ভক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রবিদাসের। পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যে তাঁরা অনুগামীর সংখ্যা ছিল বহু। দলিতদের মধ্যে আজও তিনি পূজিত হন। গুরু গ্রন্থ সাহিবেও তাঁর প্রচারিত বার্তা রয়েছে। তাই পঞ্জাবে শিখদের মধ্যেও রবিদাস জনপ্রিয়। দিল্লির তুঘলকাবাদে ৫০০ বছর পুরনো তাঁর ওই মন্দিরটি নিয়ে ১৯৮৬ সাল থেকে দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদ (ডিডিএ) এবং মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে থাকা গুরু রবিদাস জয়ন্তী সমারোহ সমিতির মধ্যে আইনি লড়াই চলে আসছে।
বেআইনি ভাবে অরণ্যভূমি দখল করে ওই মন্দির গড়া হয়েছে বলে বরাবর অভিযোগ তুলে এসেছে ডিডিএ। প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট এবং পরবর্তী কালে মামলাটি শীর্ষ আদালতে পৌঁছয়। বিষয়টি শীর্ষ আদালতে পৌঁছলে, গুরু রবিদাস জয়ন্তী সমারোহ সমিতিকে মন্দির খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারা সেই নির্দেশে সাড়া না দেওয়ায়, গত ৯ অগস্ট মাসে শেষমেশ মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো ১০ অগস্ট মন্দিরটি গুঁড়িয়ে দেয় দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদ (ডিডিএ)।
আরও পড়ুন: অসমে এনআরসি-র কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে বদলির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
তার পর থেকেই দফায় দফায় আন্দোলন শুরু হয়। দিল্লি তো বটেই, আন্দোলনে শামিল হন পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান উত্তরপ্রদেশ এবং সংলগ্ন রাজ্যের দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ, দিল্লির সামাজিক ন্যয় মন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতম-সহ দলিতদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া একাধিক সংগঠন। বলা হয়, মানুষের ধর্মীয় আবেগকে গুরুত্ব না দিয়ে ওই মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘মন্দির ভেঙে আমাদের সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে অপমান করা হয়েছে। এর বিহিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। কেউ রুখতে পারবে না।’’ ওই ধ্বংসাবশেষের উপর অথবা অন্য কোনও জায়গায় মন্দির পুনর্নিমাণ করতে হবে বলে দাবি তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিমতায় ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া খুন: বান্ধবীর ভূমিকা ঘিরে ধোঁয়াশা, বক্তব্যে অসঙ্গতি
এত দিন তা নিয়ে উচ্চবাচ্য না করলেও, হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস, জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি)-র মতো দল যখন রবিদাস মন্দিরকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ই মন্দির পুনর্নির্মাণকে বাজি ধরল বিজেপি। যদিও মন্দির ভাঙা নিয়ে কোনওরকম রাজনীতি আদালতের সিদ্ধান্তের অবমাননা বলে ধরা হবে বলে আগেই হঁশিয়ারি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy