ছবি পিটিআই।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট-প্রচারে গেরুয়া শিবিরের হাওয়া তুলতে ৫ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গে রথযাত্রার সূচনা করবেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনেই ওই রথযাত্রার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে বুধবার দিল্লিতে দলের পাঁচ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সূত্রের খবর, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দক্ষিণবঙ্গে রথযাত্রায় অংশ নেবেন তিনি।
রামমন্দির গড়ার ডাক দিয়ে সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রায় সারা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। তার রাজনৈতিক সুফল দু’হাতে ঘরে তুলেছে বিজেপি। পরেও একাধিক বার এই কৌশল প্রয়োগে সাফল্য এসেছে। এ বার নবান্ন দখলের লক্ষ্যেও সেই রথযাত্রার কৌশল আঁকড়ে ধরতে চাইছে তারা।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘‘বিজেপির এক রথযাত্রার ফল দেশ দেখেছে। হিংসা, গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনের আগে সে রকম আশঙ্কা থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্ত রাখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আর এই রথযাত্রা বাংলায় বিজেপির ‘রাজনৈতিক শবযাত্রা’ হবে।’’
তৃণমূল বিঁধলেও, রথযাত্রার জন্য রাজ্যকে পাঁচটি জ়োনে ভাগ করেছেন বিজেপি নেতারা। সেই মতো দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সুনীল দেওধর, দুষ্মন্ত গৌতমের মতো কেন্দ্রীয় নেতাদের। আজ তাঁদের সঙ্গেই বৈঠকে বসেছিলেন নড্ডা। সূত্রের খবর, পাঁচটি জ়োনে আলাদা রথযাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে প্রতিটি বিধানসভাকে ছোঁয়া যায়। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘রথযাত্রার প্রস্তুতি, কতটা বদলেছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি— এই সমস্ত বিষয়েও কথা হয়েছে আজকের বৈঠকে।’’
দলীয় সূত্রের মতে, ৫ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গে প্রচারে গিয়ে সেখান রথযাত্রার সূচনা করবেন নড্ডা। বিজেপির প্রভাব তুলনায় কম থাকা দক্ষিণবঙ্গে তাতে শামিল হবেন শাহ। পরিকল্পনা রয়েছে এক দিন পাঁচটি রথ একই স্থানে মিলিত করার। সেখানে বড় মাপের জনসভা করা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
আজ দলের সভাপতি হিসাবে এক বছর পূর্ণ করলেন নড্ডা। আগামী এক বছরে তাঁর অন্যতম লক্ষ্য যে বাংলা জয়, তা সমর্থকদের উদ্দেশে খোলা চিঠিতেই স্পষ্ট করেছেন তিনি। নিজের উপরে হামলার উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘‘সুরক্ষার ঘেরাটোপ সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে যদি দিনের আলোয় আমার উপরে প্রাণ নেওয়ার লক্ষ্যে হামলা হতে পারে, তা হলে সহজেই বোঝা যায় বিজেপি সমর্থকেরা সেখানে কতটা সমস্যার মধ্যে কাজ করছেন।’’ তাঁর দাবি, গত কয়েক বছরে রাজ্যে তিনশোর বেশি বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। মানুষ তৃণমূলকে হারিয়ে এর জবাব দেবেন।’’ সুখেন্দুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘দশানন দল। দশানন সরকার। কত জন খুন হয়েছেন, তা নিয়ে কলকাতা ও দিল্লির এক-এক রকম হিসেব। এমনকি আত্মহত্যার ঘটনাও ওদের শহিদের তালিকায়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy