রথযাত্রায় ভক্তসমাগম। মঙ্গলবার পুরীতে। পিটিআই
বৃষ্টি পড়েনি। বাতাসে আর্দ্রতাও ছিল ভালই। তবু প্রকৃতির বিরূপতা সত্ত্বেও মোটামুট নির্বিঘ্নে উতরে গেল পুরীর রথ। মঙ্গলবার দিনশেষে কয়েক জন গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, ঠেলাঠেলিতেও এক বৃদ্ধা পড়ে গিয়ে চোট পান বলে খবর কিন্তু এর বেশি কিছু অঘটন ঘটেনি বলে স্বস্তিতে উৎকল প্রশাসন।
‘‘জগন্নাথ মহাপ্রভুর অসীম দয়া! বৃষ্টি না-হলেও রথে সুন্দর হাওয়া দিচ্ছিল’’, বলেন জগন্নাথদেবের রথে ডিউটিরত সেবায়েত রঘুনাথ গোছিকর। সকালে জগন্নাথদেব ঘুম থেকে উঠে, দাঁত মেজে তৈরি হয়ে ঝটপট একটু খিচুড়ি খেয়ে রথে ওঠেন। এই খাবার বেড়ে দেওয়ারও দায়িত্বে ছিলন রঘুনাথ। সকাল থেকে বলরাম, সুভদ্রা, জগন্নাথদেবের রথারোহণ বা পহুন্ডি বিজে সময় মতোই হয়েছিল। তবু দিনশেষে একমাত্র বলভদ্রের রথ তালধ্বজই গুন্ডিচা মন্দির পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছে।
সবার শেষে জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ ছাড়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। সূর্যাস্তের সময়ে সুভদ্রার রথ দর্পদলন বড় শঙ্খ চকে থমকে থাকে। নন্দীঘোষ দাঁড়িয়ে আছে রথ চলার রাস্তার উপরে মার্কেট চকে। পুরীর শ্রী মন্দিরের সেবায়েতরা বলছেন, আজ, বুধবার তিনটি রথই গুন্ডিচায় পৌঁছবে। কাল, বৃহস্পতিবার ফের পহুন্ডির মাধ্যমে গুন্ডিচা মন্দিরে ঢুকবেন তিন জন।
শেষমেশ সব নির্বিঘ্নে চুকে যাওয়ায় প্রশাসনকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকেরা। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথ ঘিরে গত পাঁচ বছর ধরেই কড়া নিরাপত্তা। কেউ সহজে রথ ছুঁতে পারেন না। কিন্তু ভিআইপি, মন্ত্রীদের রথ টানার জন্য নির্দিষ্ট নিরাপত্তা শৃঙ্খলের বাইরে সাধারণ ভক্তদের রথ টানারও দড়ি ছিল। আবার সেই দড়ি ঘিরে ভিড় উপচে পড়লেও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুল্যান্স চলাচলের ‘গ্রিন করিডর’ও ছিল। এর ফলেই অঘটন এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy