দু’টি ধর্ষণের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। একটি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। তার পরে উঠে এসেছে অন্য একটি অভিযোগ। সে নিয়ে শোরগোলের মধ্যে মৃত্যু কেরলের প্রাক্তন সরকারি আইনজীবী পিজি মনুর। পুলিশের দাবি, আত্মহত্যা করেছেন ওই আইনজীবী।
২০২৩ সালে প্রথম অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সরকার পক্ষের আইনজীবী মনুর বিরুদ্ধে। তাঁর কাছে আইনি পরামর্শ চাইতে গিয়ে ধর্ষিত হন বলে অভিযোগ করেন এক মহিলা। ওই অভিযোগে হইচই শুরু হয়েছিল পিনারাই বিজয়নের রাজ্যে। সরকারি আইনজীবীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। ধর্ষণ-সহ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অভিযুক্ত হন তিনি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, একটি মামলা সম্পর্কে শলাপরামর্শ করবেন বলে তাঁকে নিজের চেম্বারে ডেকেছিলেন রাজ্যের সরকারি আইনজীবী মনু। সেই চেম্বারেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেরল সরকারের বরিষ্ঠ আইজীবীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিযুক্ত।
কেরল হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে একাধিক বার অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত আইনজীবী। প্রতি বারই খারিজ হয়ে গিয়েছে আবেদন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। কয়েক দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার পর জামিন পান আইনজীবী মনু। কেরল হাই কোর্ট শর্ত দেয়, জামিনের মেয়াদ যত দিন, তত দিন যেন তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনও অপরাধের অভিযোগ উঠলে জামিন বাতিল হয়ে যাবে।
গত সপ্তাহে ওই আইনজীবীর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ভিডিয়োয় দেখা যায় এক যুবক প্রবীণ আইনজীবীকে চেপে ধরেছেন। ওই যুবকের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছেন মনু। অভিযোগ একই। আইনি পরামর্শ চাইতে গিয়ে ওই মহিলাও ধর্ষিত হন আইনজীবীর কাছে।
আরও পড়ুন:
সংশ্লিষ্ট ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় কেরলে। ওই আইনজীবীর দ্রুত গ্রেফতারির দাবি ওঠে। তার মধ্যে আর এক শোরগোল রবিবার সকালে। কোল্লামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আইনজীবীর দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন কেরল সরকারের প্রাক্তন বরিষ্ঠ আইনজীবী মনু। শুরু হয়েছে তদন্ত।