ছবি: সংগৃহীত।
সংসদে তাঁর উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য সপা সাংসদ আজম খানকে কখনই মাফ করবেন না। শনিবার এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন ডেপুটি স্পিকার তথা বিজেপি সাংসদ রমা দেবী। তিনি আরও জানিয়েছেন, এক বার নয়, আজম খান দু’বার স্পিকারের পদকে অসম্মান করেছেন। প্রথম বার, তাঁর উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করে। এবং দ্বিতীয় বার, ওই মন্তব্য করার পর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা না চেয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেও আজম খানকে মাফ করতে নারাজ রমা দেবী।
গত বৃহস্পতিবার লোকসভায় তিন তালাক বিল নিয়ে বিতর্কের সময় স্পিকারে আসনে বসা রমা দেবীকে তিনি বলেছিলেন, “আপনাকে আমার এত ভাল লাগে যে মনে হয়, আপনার চোখে চোখ রেখেই বসে থাকি।”এ দিন একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে রমা দেবী বলেন, “আজম খানের মন্তব্যে শুধুমাত্র নারীরই নয়, পুরুষের সম্মানেও আঘাত হেনেছে।”
এ ধরনের মন্তব্য যে সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত, তা জানান রমা দেবী। পরে তা সংসদীয় বিবরণী থেকে বাদও দেওয়া হয়। যদিও বেগতিক দেখে সে সময়আজম খান বলেছিলেন, রমা দেবী তাঁর বোনের মতো। তবে তাতেও পরিস্থিতি সামলাতে পারেননি আজম। এই লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য মন্তব্যের পর দলমত নির্বিশেষে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীরা আজম খানের বিরুদ্ধে সরব হন।
আরও পড়ুন: ছেলেধরা ভেবে গাড়ি থেকে নামিয়ে তিন কংগ্রেস নেতাকে বেধড়ক পেটালেন গ্রামবাসীরা!
এই বিষয়ে শুক্রবার সমস্ত সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্পিকার ওম বিড়লা। অনেকেই উত্তরপ্রদেশের ওই নেতার বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আজম খানকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি শিবির। সোমবার সংসদের অধিবেশনে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে আজম খানকে কড়া শাস্তি মুখেও পড়তে হতে পারে। তবে তা সত্ত্বেও সম্তুষ্ট নন রমা দেবী। তিনি বলেন, “সে দিন ওই অশোভনীয় মন্তব্যের পর আজম খান যদি সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিতেন, আমি হয়তো তাঁকে মাফ করে দিতাম। তবে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেওয়ার মতো করে বৃহস্পতিবার সভা ছে়ড়ে বেরিয়ে যান তিনি।” আজম খানের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিও চান তিনি। রমা দেবীর মন্তব্য, “স্পিকারকে জানাব, আজম খানকে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক যাতে বহু যুগ ধরে তা মনে থাকে।”
আরও পড়ুন: ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম... চিরদিনের এই গান আর কি গাইতে পারব?’
শুধুমাত্র আজম খানই নন, ওই মন্তব্য করার সময় তাঁর পাশে বসা অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রমা দেবী। তাঁর কথায়, “আজম খান বা অখিলেশ যাদবের মতো মানুষেরা কখনই বুঝতে পারবেন না, কতটা লড়াইয়ের পর আমি এ জায়গায় পৌঁছেছি।”
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy