Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Lord Ram

হিন্দু-বিশ্বাসটাই বড়, অযোধ্যার শুনানিতে যুক্তি

বৈদ্যনাথনের যুক্তি, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী উইলিয়াম ফ্লিঞ্চ ১৬০৮ থেকে ১৬১১, ভারত ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর ভ্রমণকথা ‘আর্লি ট্রাভেল টু ইন্ডিয়া’-তে প্রকাশিত হয়েছিল। 

সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৯ ০৩:০২
Share: Save:

যুক্তি নয়! সুপ্রিম কোর্টকে বিশ্বাসে আস্থার রাখার আর্জি জানালেন অযোধ্যার ‘রাম লালা বিরাজমান’-এর আইনজীবী সি এস বৈদ্যনাথন। গত কাল ছিল জটায়ু-পর্ব। আজ অযোধ্যার রাম জন্মভূমি নিয়ে মামলায় শুনানিতে হিন্দু পক্ষের এই আইনজীবী যুক্তি দেন, সত্যাসত্য পরের কথা। সুপ্রিম কোর্ট যেন যুক্তি খুঁজতে না-যায়। অযোধ্যার ওই বিতর্কিত স্থলে রামের জন্ম হয়েছিল বলে হিন্দুরা বিশ্বাস করেন বরাবর। এবং এই বিশ্বাসটাই বড়। এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ পর্যটকের লেখা থেকে শুরু করে পুরাণ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এস এ নাজিরকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে আজ ছিল মামলার ষষ্ঠ দিনের শুনানি।

বৈদ্যনাথনের যুক্তি, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী উইলিয়াম ফ্লিঞ্চ ১৬০৮ থেকে ১৬১১, ভারত ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর ভ্রমণকথা ‘আর্লি ট্রাভেল টু ইন্ডিয়া’-তে প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে স্পষ্ট বলা আছে, অযোধ্যা রামের জন্মস্থান। ব্রিটিশ আমিন মন্টগোমারি মার্টিন ও জেসুইট মিশনারি জোসেফ টিফেনন্টালার লেখাতেও জানা যাচ্ছে, ওখানে দুর্গ ও মন্দির ছিল। মন্দিরের উপরেই মসজিদ বানানো হয়েছিল। এই প্রেক্ষিতে বেঞ্চ জানতে চায়, অযোধ্যার ধ্বংস হওয়া কাঠামোটিকে প্রথম কখন বাবরি মসজিদ বলা হয়েছিল? (বাবরের স্মৃতিকথা) বাবরনামাও কি এ নিয়ে পুরোপুরি নীরব? বৈদ্যনাথন দাবি করেন, এটাকে বাবরি মসজিদ বলা নিয়ে উনিশ শতকের আগের কোনও নথি নেই। তবে এটা স্পষ্ট, ওখানে মন্দির ছিল। বাবর বা অওরঙ্গজেবের আমলে তা ধ্বংস করা হয়, এমন দু’রকম ভাষ্যই পাওয়া যাচ্ছে। বেঞ্চ জানতে চায়, বাবর মন্দির ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার কী প্রমাণ আছে? বৈদ্যনাথন জানান, বাবরের অযোধ্যা যাত্রা নিয়ে বাবরনামায় কিছু নেই। এর বিরোধিতা করে মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধবনের বক্তব্য, বাবরের অযোধ্যা-যাত্রার কথা আছে বইয়ে। তবে মাঝের কিছু পাতা পাওয়া যায়নি। বৈদ্যনাথন জানান তিনি প্রথমে নথি পেশ করবেন, পরে (প্রচলিত) কথার প্রসঙ্গ আনবেন। সব শেষে তাঁর হাতিয়ার পুরাতত্ত্ব বিভাগের সংগ্রহে থাকা প্রমাণ।

সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া ও ‘রাম লালা বিরাজমান’? এই তিন পক্ষের মধ্যে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি ভাগ করতে বলেছিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার বিরুদ্ধে জমা পড়ে ১৪টি আবেদন। তা নিয়েই চলছে ‘নিয়মিত শুনানি’। সপ্তম দিনের শুনানি ১৬ তারিখ।

অন্য বিষয়গুলি:

Lord Ram Ayodhya Hindu belief Ram Lalla Virajman lawyer Supreme Court CS Vaidyanathan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy