কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। ছবি: পিটিআই
নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপরে চাপ আরও বাড়িয়ে আজ আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের সমর্থনে মাঠে নামলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। আজ যন্তরমন্তরে দাঁড়িয়ে টিকায়েত ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের অপসারণের দাবিতে সরব হলেন। আজ যে ভাবে রাকেশ টিকায়েতের ডাকে বিভিন্ন রাজ্যের খাপ প্রধানেরা দিল্লিতে উপস্থিত হন, তাতে নতুন করে অস্বস্তির মুখে বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি সাংসদ তথা কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামা কুস্তিগিরদের নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্নের মুখে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কুস্তিগিরদের অভিযোগ সত্ত্বেও কেন তোলা যৌন হেনস্থার মতো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে সরানো হচ্ছে না, তা নিয়ে কুস্তিগিরদের মতোই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরাও। আজ কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়ে সেই প্রশ্ন তোলেন টিকায়েতও। সরকারকে দ্রুত ব্রিজভূষণকে গ্রেফতারির পরামর্শ দিয়েছেন খাপ পঞ্চায়েতের নেতারা। তা করা না হলে দিল্লি অচল করার হুমকিও দিয়েছেন খাপ নেতারা। টিকায়েতের প্রশ্ন, ‘‘কেন কেন্দ্র কুস্তিগিরদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে না?’’ এর পরে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এ জন্যও কি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে? আসলে ভূত ছাড়াতে হবে। এর জন্য মাঝে মাঝে লঙ্কার ব্যবহার করতে হয়। দিল্লি পুলিশকে জবাব দিতে হবে, কেন ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।’’
অন্য দিকে একটি ভিডিয়ো বার্তায় ব্রিজভূষণ বলেন, ‘‘আমার একটা অপরাধও যদি প্রমাণিত হয়, তা হলে আমি ফাঁসিতে ঝুলব। মামলাটি দিল্লি পুলিশের বিচারাধীন। তাই সব বিষয়ে খোলাখুলি বলতে পারছি না। কিন্তু আমার পরিবার কুস্তির সঙ্গে জড়িত। কারও কাছে কোনও সাক্ষী থাকলে, প্রমাণ থাকলে, ভিডিয়ো থাকলে দিন। কোনও মহিলা বা পুরুষ কুস্তিগিরকে একান্তে জিজ্ঞাসা করুন, এই ব্রিজভূষণ কি সত্যিই ‘রাবণ’?’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘দেশের অধিকাংশ কুস্তিগির আমার পক্ষে রয়েছেন। কেবল কয়েক জন কুস্তিগির আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীদের বাদ দিয়ে বাকি কুস্তিগিরদের প্রশ্ন করলেই জানতে পারবেন, গত এক দশকে ভারতীয় কুস্তির জন্য কতটা অবদান রেখেছি।’’
আজ টিকায়েতের ডাকে হরিয়ানা, পঞ্জাব ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের খাপ পঞ্চায়েতের নেতারা দিল্লি এসে উপস্থিত হতে শুরু করেন। কয়েক হাজার কৃষক রাত পর্যন্ত দিল্লির উদ্দেশে হেঁটেছেন। এ দিন সকাল থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণে দিল্লিতে প্রবেশের একাধিক সীমানায় ব্যারিকেড বসিয়ে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করে দিল্লি পুলিশ। তা সত্ত্বেও হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু কৃষক যন্তরমন্তরে পৌঁছে যান। আগামী বছর লোকসভার ভোটের পরেই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। কুস্তিগিরদের ওই আন্দোলন ভোটমুখী হরিয়ানায় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিশেষ করে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, মহিলা কুস্তিগিরদের অভিযোগ করা সত্ত্বেও কেন সরানো হচ্ছে না ব্রিজভূষণকে। দলের বক্তব্য, এ কথা সত্যি কুস্তিগিরদের একটি অংশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে সরব। কিন্তু তাঁদের পিছন থেকে মদত দিচ্ছে হরিয়ানা কংগ্রেসের একাংশ। সক্রিয় রয়েছে বিজেপি বিরোধী রাষ্ট্রীয় লোক দল ও সমাজবাদী পার্টি। তাই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আদৌ সত্য, না কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy