বিল পাশ করতে গিয়েই স্বরযন্ত্রের বারোটা বাজালেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। ফাইল চিত্র
রাজ্যসভার ইতিহাসে ঘটে গেল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ডেপুটি চেয়ারম্যানের গলা ভাঙার উপক্রম। না! কোনও হই-হট্টগোল বা সদস্যদের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নয়। বরং বিল পাশ করতে গিয়েই স্বরযন্ত্রের বারোটা বাজালেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় চার্টাড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট ও ওয়ার্ক অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং কোম্পানি সচিব সংক্রান্ত সংশোধনী বিল, ২০২২ নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের মন্তব্যের পর সভার সব সদস্য প্রায় ২ ঘন্টা ২০ মিনিট সময় ধরে বিশদ আলোচনা করেন।
যাবতীয় নিয়ম-কানুনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে মোট ২০০ ধ্বনি-ভোটের মাধ্যমে রাজ্যসভায় বিল পাশ করা হল।
বিলে উল্লিখিত ১০৬টি ধারার উপর ভোট প্রক্রিয়া এবং প্রতিটি ধারা সংলগ্ন সংশোধন সারতে ৩০ মিনিট সময় লেগেছে। বিল পাশ করতে মোট যে সময় লেগেছে, তার ১৮ শতাংশ সময় জুড়ে সম্পূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া চলে।
নিয়মানুযায়ী, রাজ্যসভার যে সব সদস্য ধারা সংক্রান্ত পরিবর্তন আনতে চান, সেই সংখ্যার উপর নির্ভর করে ধারা প্রতি দু’বার ভোট অনিবার্য।
রাজ্যসভার সদস্যরা বহু সংখ্যক ধারা, উপধারা নিয়ে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। সিপিআই(এম)–এর জন ব্রিট্টাস বিলের বিভিন্ন ধারায় ১৬৩টি নোটিশ দিয়েছেন। সিপিআই এমপি বিনয় বিশ্বমও কিছু ধারায় পরিবর্তন করেন।
বিলের স্বপক্ষে ও বিপক্ষে কত জন সদস্য ভোট দিচ্ছেন, তা নিশ্চিত করতেই হরিবংশকে প্রায় ৪০০ বার ডাক দিতে হয়েছে।
সব শেষে, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পূর্বে তিনি যখন সদস্যদের নাম সহ সভায় আবেদন করা সংশোধনগুলি আরও এক বার উপস্থাপন করছিলেন, তখন তাঁর গলা দিয়ে আর আওয়াজ বেরচ্ছিল না।
সচিবালয়ের আধিকারিকদের মতে, দীর্ঘ কাল পর বহু সংখ্যক ধারা ও সংশোধন পূর্ণ বিল পাশ হল রাজ্যসভায়। অবশ্য তার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ এই বিল পাশ হওয়ার দীর্ঘ সময়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy