Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে অনশনে রাজীব হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত নলিনী

জেল সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত থেকেই অনশন শুরু করার সিদ্ধান্তের কথা চিঠিতে জানিয়েছেন নলিনী। শনিবারও খাবার খেতে অস্বীকার করেন তিনি। ওই চিঠিতে নলিনী লিখেছেন, গত ২৮ বছর ধরে তিনি ও তাঁর  স্বামী মুরুগান জেলবন্দি। এবংতাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:০৬
Share: Save:

মুক্তির দাবিতে জেলেই অনশনে বসলেন রাজীব গাঁধী হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরণতামিলনাড়ুর ভেলোর মহিলা কারাগারে বন্দি নলিনীর দাবি, অবিলম্বে তাঁকে এবং তাঁর স্বামী মুরুগানকে মুক্তি দিতে হবে। এই আবেদন করে জেল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি লিখেছেন তিনি।

জেল সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত থেকেই অনশন শুরু করার সিদ্ধান্তের কথা চিঠিতে জানিয়েছেন নলিনী। শনিবারও খাবার খেতে অস্বীকার করেন তিনি। ওই চিঠিতে নলিনী লিখেছেন, গত ২৮ বছর ধরে তিনি ও তাঁর স্বামী মুরুগান জেলবন্দি। এবং তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত।

নলিনী জানিয়েছেন, এর আগে বহু বার রাজ্য সরকারের কাছে নিজেদের মুক্তির আবেদন করেছেন তিনি। জেল কর্তৃপক্ষকে লেখা চিঠিতে নলিনী জানিয়েছেন, গত ২৮ বছর ধরে তাঁদের একমাত্র মেয়ের থেকে দূরে রয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: গতি ঘণ্টায় ২০০ কিমি, ঘূর্ণিঝড় কিয়ারের দাপটে উত্তাল আরব সাগর, ৪ রাজ্যে সতর্কতা জারি

চলতি বছরের ২৫ জুলাই তাঁর মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে নলিনীকে এক মাসের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ২০১৬-তে বাবার শেষকৃত্যে উপস্থিতির জন্য ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে ছাড়া পান নলিনী।

আরও পড়ুন: বাগাদাদিকে ধরতে মার্কিন অভিযান, আত্মঘাতী বোমায় নিজেকে ওড়াল আইএস শীর্ষ নেতা

১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবুদুরে নির্বাচনী জনসভায় এক আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী। সেই মামলায় রাজীব হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হন নলিনী।প্রথমে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের সাজা হলেও সনিয়া গাঁধীর হস্তক্ষেপে তা কমে যাবজ্জীবন কারাবাস হয়। নলিনী ছাড়াও আরও ছ’জনের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হয়। ’৯১ থেকেই জেলবন্দি নলিনী। তাঁর স্বামী মুরুগানও ওই বছর থেকে একই জেলে বন্দি রয়েছেন।

এই প্রতিবেদনটি প্রথম বার প্রকাশিত হওয়ার সময় লেখা হয়েছিল, নলিনীর বাবা অসুস্থ। কিন্তু ঘটনাচক্রে তাঁর বাবা বছর তিনেক আগেই মারা গিয়েছেন। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE